আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : দুর্ভোগের আরেক নাম বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ধামুড়া-সাতলা সড়ক। এ সড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশে বেহাল দশার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। উপজেলার ঘণবসতিপূর্ন ওটরা, সাতলা ও হারতা ইউনিয়নবাসীর যোগাযোগের প্রধান পথ ধামুড়া-সতলা সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে এ রুটের বাস চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে উপজেলা সদর ও জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য ওইসব এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে উপজেলার হারতা, নাথারকান্দি, শিবপুর, রাজাপুর, সাতলা, নয়াকান্দি, রাজাপুর, পশ্চিম সাতলা, ওটরা, মশাং, কেশবকাঠী, মুন্সিরতাল্লুক, চকমানসহ পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক হাজার স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষ যাতায়াত করে থাকে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ধামুড়া থেকে সাতলা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়কের ধামুড়া ডিগ্রী কলেজের সম্মুখ থেকে ওটরা চেড়াগালী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের কারনে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশা। সড়কের ধামুড়া কলেজ থেকে দক্ষিণ পাশে গজেন্দ্র নামকস্থানে কয়েকটি বিশাল গর্তের কারণে সড়কের করুন দশা।

বৃহস্পতিবার সকালে গজেন্দ্র এলাকায় ওই রুটে চলাচলকারী শুভেচ্ছা পরিবহন-৪ নামে একটি যাত্রীবাহি বাস সড়কের মধ্যে গর্তে আটকে বিকল হয়ে রয়েছে। ওই বাসটির পেছনে আরও পাঁচটি বাস আটকে আছে।

স্থানীয় হাসান মোল্লা জানান, বরিশালের উদ্দেশ্যে সকাল পৌনে ১০টায় সাতলা থেকে ৩০/৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ওই বাসটি ছেড়ে সাড়ে ১০টার দিকে গজেন্দ্র নামকস্থানে আসলে সড়কের গর্তে আটকে বিকল হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। সড়কের বেহাশ দশার কারনে প্রতিদিন ছোট-বড় দূর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।

ভ্যান চালক আব্দুর রহিম বেপারী জানান, প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে খানাখন্দে ভরা এ সড়কটি মেরামত করা হলেও মেরামতের এক বছরের মধ্যে তা আগের রূপ ধারন করেছে।

এ রুটে চলাচলরত যাত্রীবাহি বাসের চালকরা জানান, সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন গাড়ির বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও যাত্রী পাওয়া যায়না। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়না। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগেও পড়তে হচ্ছে। এসব কারণে তারা বাস চালানো প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইউনুস আলী বলেন, ওই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরেই চলাচল অযোগ্য হয়ে পরেছে। গত পাঁচ বছরেও সড়কটিতে সংস্কার কাজ হয়নি। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।

(টিবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮)