বাগেরহাটে নসিমুন চালক হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের সদর উপজেলার চুলকাঠি এলাকার নসিমুন চালক মামুন মোল্লা হত্যা মামলায় বৃহষ্পতিবার বিকালে ৪ আসামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ৪ জনের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে প্রত্যেককে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেছে আদালত।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত -১ এর বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলো বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্ট-বলিয়াঘাটার গ্রামের আব্দুল ফকিরের ছেলে সোহাগ ফকির, গোলাম মোস্তফা মাফুজের ছেলে ইব্রাহিম মোল্লা, দক্ষিন খানপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিজান ও ফকিরহাট উপজেলার লকপুর গ্রামের ওমর আলী মোল্লার ছেলে জুনু ওরফে ইসমাইল মোল্লা।
একই মামলার অপর আসামি খুলনার জোনাব আলী গাজীর ছেলে জয়নাল আবেদীনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমান অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণা কালে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত মিজান ও জুনু ওরফে ইসমাইল মোল্লা পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিগত ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর আসামীরা পরষ্পরের সহযোগীতায় বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মোল্লার ছেলে নসিমুন চালক মো. মামুন মোল্লার নসিমুন নিয়ে খুলনার উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা করে। পরে মামুন মোল্লাকে তার পরিবারের লোকজন খুজে না পেয়ে ৯ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে।
এক বছর পরে অন্য একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বাগেরহাট সদর থানার এস আই আজগর আলী এক আসামির কাছ থেকে জানতে পারেন তারা নসিমুন চালক মামুন মোল্লাকে নসিমুনসহ ভাড়ায় নিয়ে খুলনায় কাজীবাছা নদীর পাড়ে তাকে গলায় গামছা পেচিয়ে হত্যা করে। পরে তার নসিমুনটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এই ঘটনা জানতে পেরে ২০১৪ সালের ১২ জুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে মামলাটি সিআইডিতে ন্যাস্ত করা হয়।
সিআইডি পরিদর্শক মো. নিজাম উদ্দিন হাওলাদার ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত ৪ আসামীসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে এই রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, সৈয়দ জাহিদ হোসেন ও আসামী পক্ষে ছিলেন মো. মোসলেম উদ্দিন ও মো. এনায়েত হোসেন।
(এসএকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮)