স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বর্জ্য শোধন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ‘মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণসহ ভূমি উন্নয়ন’প্রকল্প গ্রহণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। ল্যান্ডফিলে বর্জ্য অপসারণ নির্বিঘ্ন রাখতে এবং বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর তথা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এজন্য সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৫ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ডিএসসিসি এলাকা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার ২০০ টন বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। এদিকে বর্জ্য ফেলার স্থান মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলেও পর্যাপ্ত সংকুলান নেই। এ অবস্থায় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডিএসসিসি মাতুয়াইলে বড় ধরনের একটি দগ্ধকরণ প্লেস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে পৃথক দুটি ভাগ থাকবে। একটিতে সাধারণ বর্জ্যে এবং অন্যটিতে ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য দগ্ধ করা হবে।

ইলেক্ট্রনিক বর্জ্য পোড়ানোর পর যে নির্যাস থাকবে তা দিয়ে কয়লা জাতীয় দ্রব্য উৎপাদন করা হবে জ্বালানির কাজে। পাশাপাশি বর্জ্য দগ্ধকরণ প্রক্রিয়ায় যে তাপ বা শক্তি উৎপাদন হবে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এ প্রকল্প ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেটে অর্ন্তভুক্ত আছে।

মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণের বিষয়ে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, বর্জ্য অপসারণ নির্বিঘ্ন রাখতে এবং বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর তথা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ৭২৫ কোটি টাকার ‘মাতুয়াইল স্যানেটারি ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণসহ ভূমি উন্নয়ন’প্রকল্প নেয়া হয়। এটি একনেক অনুমোদন দিয়েছে।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় ৮১ একর ভূমি অধিগ্রহণেরর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তন্মধ্যে ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণের জন্য ৫০ একর এবং বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরের জন্য ৩১ একর জমি ব্যবহার করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিদিন ৫/৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।

জানা গেছে, এ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রথমে জেলা প্রশাসকের অনুকূলে অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব করা হয়। বর্জ্য শোধনের নতুন এ পদ্ধতিটি দেশে প্রথম। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আগামী ৫০ বছর বর্জ্য শোধন নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৮)