স্টাফ রিপোর্টার : অস্বাভাবিকভাবে শেয়ারের দাম বাড়ায় ছয় কোম্পানির বিষয়ে গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। কোম্পানি ছয়টি হলো- নাহি অ্যালুমেনিয়াম, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, নর্দার্ণ জুট, খুলনা পাওয়ার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস এবং আরডি ফুড।

ডিএসই জানিয়েছে, এই ছয় কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পেছনের কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়। এর জবাবে প্রতিটি কোম্পানির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এ বিষয়ে তাদের কাছে অপ্রকাশিত কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। কোম্পানিগুলোর দেয়া এই তথ্যের ভিত্তিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে ডিএসইর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তথ্যও প্রকাশ করা হয়।

নাহি অ্যালুমেনিয়াম :

কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৯ কার্যদিবসের ব্যবধানে ১৬ টাকা ১০ পয়সা বাড়ায় ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করা হয়। এ কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৪৯ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ শেয়ার। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার।

ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স :

কোম্পাটির শেয়ারের দাম ১১ কার্যদিবসের ব্যবধানে ৩৬ টাকা ৯০ পয়সা বাড়ার প্রেক্ষিতে ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করা হয়। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৬০ দশমিক ৬৮ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। সরকারের কাছে আছে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ারের মধ্যে ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং ১৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে।

নর্দার্ণ জুট :

২০১৭ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসের হিসাবে মোটা অংকের লোকসানে থাকা এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১৪ কার্যদিবসের ব্যবধানে বেড়েছে ১১০ টাকা।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি ৮৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ারই রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

খুলনা পাওয়ার :

কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৮ কার্যদিবসে ২০ টাকা ৭০ পয়সা বাড়ায় ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করা হয়। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭০ দশমিক ৫৯ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ১৯ দশমিক ২৪ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে আছে দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস :

কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৮ কার্যদিবসের ব্যবধানে ২২ টাকা ৪০ পয়সা বাড়লে ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করা হয়। এ কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ রয়েছে সরকারের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে ২ শতাংশ শেয়ার।

আরডি ফুড :

‘এ’ গ্রুপের এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছয় কার্যদিবসের ব্যবধানে ৪ টাকা ৯০ পয়সা বাড়ায় ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করা হয়। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ২৭ দশমিক ১৪ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৯ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮)