ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের ট্রেনযাত্রায় মুলাডুলির পথসাভায় দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৪ সালের মতো আবারও জ্বালাও-পোড়াও-বোমাবাজির ষড়যন্ত্র করছে। জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি বিগত দশ বছরে ১০ মিনিট রাজপথে আন্দোলন সংঘঠিত করতে পারেনি। বিএনপি বলেছিল রোজার ঈদের পর আন্দোলন। রোজার ঈদের পর আবার কোরবানির ঈদের পর রাজপথে আন্দোলন। শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের জোয়াড়ে বিএনপির আকাশে এখন আষঢ়ের মেঘের ঘনঘটা, বিএনপির মরা গাঙ্গে আর পানিও আসবে না,  কোন ঈদও আসবে না।

ট্রেনযাত্রায় সফরসঙ্গি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভুমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর সভাপতিত্বে উত্তরাঞ্চলমুখী ট্রেনযাত্রার পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি রেলস্টেশনে দুপুর ১টার দিকে আয়োজিত পথসভায় ওবায়দুল কাদের এসময় জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বারবার ষড়যন্ত্র করতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজছে। বিগত নির্বাচনের মতো যদি আগামী নির্বাচনেও বিএনপি-জামায়াত নাশকতার চেষ্টা করে, তবে তা আপনারা প্রতিহত করবেন।

ওবায়দুল কাদের নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ফুল দিয়ে লাভ নেই-ফুল শুকিয়ে যাবে, ব্যানার-ফেস্টুন এক সময় মুছে যাবে, কাগজও ছিড়ে যাবে। শেখ হাসিনার নাম হৃদয়ে লিখে রাখুন, সেটাই রয়ে যাবে। তিনি বলেন, কোন্দল- বিশৃঙ্খলা করবেন না। করবেন না। বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। দুয়েকদিনের মধ্যে বিশৃঙ্খলাকারীদের শোকজ পাঠানো হবে।

সফরে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ এমপি, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি. এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দফতর সম্পাদিক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

মুলাডুলিতে ভূমিমন্ত্রীর নের্তৃত্বধীন আওয়ামী লীগ ও দলীয় সকল অংগ সংগঠনের হাজার হাজার নেতা,কর্মী ও সমর্থক সমাবেত হয। এসময় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের এবং ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের নাম উল্লেখ করে নেতা-কর্মীরা মূর্হ মুর্হ শ্লেগাণে সভাস্থল মূখরিত করে। পাবনা সদরের এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লালসহ বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এসময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কমলাপুর স্টেশন থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টায় আওযাামী লীগের নির্বাচনী ট্রেন ছেড়েছে। ট্রেন যাত্রার মধ্য দিয়ে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে নির্বাচনী সফর শুরু করেছে আওযামী লীগ। সরকারের উন্নয়ন কাজ তৃণমূলে পৌঁছে দিতে এবং দলকে শক্তিশালী করতেই উত্তরাঞ্চলে আওয়ামী লীগের ট্রেন সফর।

(এসকেকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮)