আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বঙ্গবন্ধু অস্থায়ী হাসপাতাল ও পাঠাগারের নাম মুছে দিয়ে পুরো সম্পত্তি দখল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রভাবশালী এক ছাত্রদল নেতা ও তার সহদর। এনিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি জেলার উজিরপুর উপজেলার পুরাতন শিকারপুর বন্দরের।

সূত্রমতে, বন্দর সংলগ্ন সড়ক ও জনপদের সম্পত্তির উপর দীর্ঘদিন পূর্বে নির্মিত বঙ্গবন্ধু অস্থায়ী হাসপাতাল ও পাঠাগারের সম্পত্তির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পরে স্থানীয় মাহবুবুর রহমানের পুত্র ছাত্রদল নেতা মাহফুজুর রহমান মাসুম ও তার সহদর মশিউর রহমানের। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে ওই সম্পত্তি দখল করে প্রভাবশালীরা দোকান ঘর নির্মান কাজ শুরু করে।

একপর্যায়ে দখলকারীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও বন্দরের ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পরে। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা সিকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছাত্রদল নেতার দখল কাজ বন্ধ করে বঙ্গবন্ধু অস্থায়ী হাসপাতাল ও পাঠাগারের সম্পত্তি শিকারপুর বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দকে বুঝিয়ে দেন।

পরবর্তীতে গত ৬ আগস্ট উজিরপুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন বেপারী, উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ শিকদার বাচ্চু, শিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি নান্নু শিকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরা বন্দরের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি পাঠাগারের উদ্বোধণ করেন।

শিকারপুর বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেমায়েত হোসেন মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম করিম খান, শিকারপুর সরকারী শের-ই বাংলা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল মাহমুদ আউয়াল, বন্দর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি এনায়েত হোসেন খান জানান, উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নির্দেশ মোতাবেক বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি পাঠাগার’র উদ্বোধণ করার পর ভূমিদস্যু মাহফুজুর রহমান মাসুম ক্ষিপ্ত হয়।

ওই জমি দখল করতে নতুন কৌশল হিসেবে অর্থের বিনিময়ে সে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বন্দরের সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নামে অস্থায়ী হাসপাতাল ও পাঠাগারের জমি দখলের ষড়যন্ত্রকারী ভূমিদস্যূ মাসুমের শাস্তির দাবিতে বন্দরের সাধারণ ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

(টিবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮)