স্টাফ রিপোর্টার : পুঁজিবাজারের মূল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশ অনুযায়ী স্পট মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফিরেছে ড্রাগন সোয়েটার। রবিবার মূল মার্কেটে লেনদেনের শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের বিক্রেতা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার পেতে অসংখ্য ক্রেতা ক্রয় আদেশ দিলেও যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আছে তাদের কেউই শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে ক্রেতা থাকলেও ড্রাগন সোয়েটারের শেয়ার বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রবিবার লেনদেনের শুরুতে ড্রাগন সোয়েটারের ১০ হাজার শেয়ার ৩৫ টাকা ৬০ পয়সা দরে ক্রয় আদেশ পড়ে। তবে কেউ এই দামে শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর ৩৫ টাকায় ৯০ হাজার শেয়ার ক্রয়ের আবেদন আসে। এ দামেও কেউ শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে ৩৬ টাকা ৮০ পয়সা দামে ৩২ লাখ ২৬ হাজার ২২টি শেয়ার ক্রয়ের আবেদন পড়ে। এই দামেও কোনো বিনিয়োগকারী তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। ফলে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রেতা শূন্যই থেকে গেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই ড্রাগন সোয়েটারেরশেয়ারের দাম বাড়ছে। গত ১৮ জুন কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১৭ টাকা ৭০ পয়সা। যা টানা বেড়ে ৫ আগস্ট লেনদেন শেষে দাঁড়ায় ৫০ টাকা ৩০ পয়সা।

শেয়ারের এমন দাম বাড়ার কারণে গত ১৬ আগস্ট বিএসইসির কমিশন সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ড্রাগন সোয়েটারকে স্পট মার্কেটে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর বিএসইসির নির্দেশ অনুযায়ী ১৯ আগস্ট থেকে স্পট মার্কেটে লেনদেন হতে থাকে ড্রাগন সোয়েটারের শেয়ার।

বিএসইসি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্পট মার্কেটে লেনদেনের নির্দেশ আসার পর ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত ড্রাগন সোয়েটারের পরিচালনা পর্ষদ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ এবং ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ পরিস্থিতিতে ৬ সেপ্টেম্বর স্পট মার্কেট থেকে ড্রাগন সোয়েটারকে মূল মার্কেটে ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। এ সংক্রান্ত এক আদেশে বিএসইসি জানায়, তাদের পর্যবেক্ষণে ড্রাগন সোয়েটারের করপোরেট ডিসক্লোজার ও অন্যান্য বিষয়ে সন্তোষজনক পরিবর্তন পাওয়া গেছে। তাই বিনিয়োগকারী ও শেয়ারবাজারের স্বার্থে কোম্পানিটিকে স্পট মার্কেটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। বিএসইর ওই নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার থেকে ড্রাগন সোয়েটারের শেয়ার আবার মূল মার্কেটে লেনদেন শুরু হেয়ছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৭ দশমিক ৮১ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩০ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার।

২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কোম্পানিটি ২০১৬ ও ২০১৭ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮)