তালতলীতে কিশোরী ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার তালতলীতে বিয়ে করার প্রলোভন দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ অতঃপর বিয়ের চাপ দিলে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে শনিবার রাতে অভিযুক্ত কোষ্টগার্ডের মাঝি আবুল কালামসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় মামলা দায়ের করে।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের গাবতলী গ্রামের এক কিশোরী কন্যাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেনিপাড়া গ্রামের আঃ বারেক হাওলাদারের ছেলে নিদ্রা-সখিনা কোষ্টগার্ডের মাঝি আবুল কালাম (৩০) দীর্ঘ ২ বছর ধরে দৈহিক সম্পর্ক করে আসছে।
এক পর্যায় মেয়েটি আবুল কালামকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তার এ অনৈতিক কাজ ধামা চাপা দেওয়ার জন্য গত ৪ মাস আগে আবুল কালাম ওই কিশোরীকে পটুয়াখালী যৌনপল্লীতে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। সেখান থেকে ১৫ দিন পর ওই কিশোরী কৌশলে পালিয়ে বাড়ি আসে। বাড়িতে এসে মেয়েটি আবুল কালামকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে এবং স্থানীয় ভাবে মীমাংসার নামে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ধর্ষক আবুল কালাম মেয়েটিকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মেয়েটির আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। কিশোরী ধর্ষণ ও অপহরনের অভিযোগে মেয়েটির মা বাদী ৬ জনকে আসামী করে শনিবার রাতে তালতলী থানায় মামলা দায়ের করে।
নিন্দ্রা সখিনা কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট এর পেটি অফসার মো: আশ্রাফুল ইসলাম জানান, আবুল কালাম আমাদের দৈনিক চুক্তি ভিত্তিক মাঝি ছিল। তার বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ ওঠার পর আমরা তাকে বাদ দিয়েছি।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় জানান, ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে আবুল কালামসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। অপহরন হওয়া মেয়েটিকে উদ্ধার এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
(এন/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮)