স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক ও পরিবহন বিভাগের এক স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলীকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পূর্ত অডিট অধিদফতরের এক অডিট কর্মকর্তা। ছয় বছর আগে ঝালকাঠির ছয়টি সড়ক মেরামতের কাজ যথাযথ হওয়া সত্ত্বেও জালিয়াতি করে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করার অভিযোগে অডিট কর্মকর্তা মো. শামসুল হকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

শামসুল হক বর্তমানে ঢাকায় হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে সিএও-আইএমইডির প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছেন।

এ বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের অধীনে ছয়টি সড়ক মেরামতের কাজ শেষে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা হয়। এসব কাজ যথা নিয়মে সম্পন্ন করা হয় এবং যথা সময়ে কাজ গ্রহণ করে চলতি ও চূড়ান্ত বিল প্রদান করা হয়। পরে সড়কগুলোর মেরামত কাজের নিরীক্ষা করার জন্য ঢাকা পূর্ত অডিট অধিদফতর থেকে শামসুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ঝালকাঠিতে গিয়ে নিরীক্ষা করেন।

দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়ে তিনি বলেন, শামসুল হক নিরীক্ষাকালে সড়ক মেরামত কাজের জন্য স্ট্যাম্প ক্রয়ের তারিখ ৫ এর পূর্বে ২ বসিয়ে ২৫ বানিয়ে এবং ৭ এর পূর্বে ২ বসিয়ে ২৭ তারিখ বানিয়ে নিরীক্ষা শেষে ঢাকায় ফেরেন। এরপর তিনি এসব কাজের বিপরীতে অবাস্তব স্ট্যাম্প ক্রয় ও চুক্তিপত্র স্বাক্ষর এবং অবাস্তব কাজ দেখিয়ে সরকারের ৬৫ লাখ ৯২ হাজার ৯৯৭ টাকা আর্থিক অনিয়ম বা আর্থিক ক্ষতির বিষয় উল্লেখ করে স্বাক্ষরবিহীন নিরীক্ষা প্রতিবেদন পূর্ত অডিট অধিদফতরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে দাখিল করেন। শামসুল হক অসৎ উদ্দেশ্যে ও কারচুপির মাধ্যমে স্ট্যাম্প কেনার তারিখ পরিবর্তন করে মনগড়া ও মিথ্যা নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এজন্য দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা এবং ১৯৭৪ সালের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শামসুলের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি সদর থানায় শিগগিরই মামলাটি দায়ের করা হবে। অভিযোগটি সমন্বিত বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল হাশেম কাজী অনুসন্ধান করেন।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮)