স্টাফ রিপোর্টার : হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের (নকাশার বাইরে) লে-আউট প্ল্যানের বাইরে থাকা স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছে। রুলে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের লে-আউট প্ল্যানের বাইরে থাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে এবং লে-আউট প্ল্যান অনুসারে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টকে রক্ষা করার জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, হাতিরঝিল থানার ওসি ও প্রজেক্ট পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া আদালতের আদেশের বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অসিত তালুকদার।

পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, লে-আউট প্ল্যানের নির্দেশনার বাইরে কতিপয় অবৈধ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চললেও রাজউক নিষ্ক্রিয় থাকার প্রতিবেদন গত ১ আগস্ট একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। এ রিটের শুনানির পর রুল জারি করে সাত দিনের মধ্যে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টে লে-আউট প্ল্যানের বাইরে থাকা স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রুলও জারি করেছেন। রুলে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টে লে-আউট প্ল্যানের বাইরে থাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে এবং লে-আউট প্ল্যান অনুসারে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টকে রক্ষা করার জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

মনজিল মোরসেদ আরও জানান, আদেশে আদালত রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, হাতিরঝিল থানার ওসি ও প্রজেক্ট পরিচালককে প্রজেক্ট এলাকায় প্রতিনিয়ত মনিটরিং করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। যেন কেউ লে-আউট প্ল্যান বর্হিভূত স্থাপনা করতে না পারে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮)