রানীশংকৈল (ঠাকুরগাও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (ওয়ারেন্ট অফিসার অবঃ) হানিফ সরকারের দোকান ঘর প্রবেশ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয় ও জমি জোর করে দখলের অভিযোগ উঠেছে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্যদের সংগঠন রাহবা’র সাইনবোর্ড দিয়ে। ঘটনাটি ঘটে মহলবাড়ী এলাকার জুঁই ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন। তবে এ জমিটি বর্তমানে খাস। 

ভুক্তভোগী সেনা সদস্য হানিফ সরকার সোমবার জানান, ১৯৮০ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসছি। এছাড়াও একশোনা লিজ নিয়ে সরকারকে খাজনাও দিয়েছি ।

কিন্তু হঠাৎ করেই রাহবা সংগঠনের ব্যানারে জমি দখলের চেষ্টা করছেন সংগঠনটি। এরই প্রেক্ষিতে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ এনে গত ৬ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী সাবেক সেনা সদস্য হানিফ সরকারের ছেলে আবু সাইদ বাদী হয়ে রাহবার সম্পাদক গোলাম মোস্তফাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগে উল্লেখ্য করেন রাহবার সম্পাদক গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে সংগঠনের ব্যানার দিয়ে অন্যায়ভাবে এবং জোর করে ব্যানার সাটিঁয়ে আমাদের বাসার সামনের একটি খালি দোকান যা প্রবেশ পথ হিসেবে ব্যবহার হতো সেটি দখল করার চেষ্টা করে । বাসায় থাকা ভাড়াটিয়া মাহমুদ হাসানের স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকে বেদড়ক পেটানোর কথা অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়।

অপরদিকে রাহবা সংগঠন পৌর সভার মেয়রসহ বিভিন্ন দপ্তরে গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ অভিযোগের আলোকে পৌর মেয়র আলমগীর সরকার গত রোববার সরজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী হানিফ সরকারের নির্মাণ করা আধাপাকা ঘর জোর করে দখল করে তালা মেরে রাহবার একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেন। ভুক্তভোগী সেনা সদস্যর ছেলে সাইদ জানান,যে ঘরটি তালা মেরেছে সেটি ছিলো আমাদের প্রবেশ পথ। এ প্রবেশ পথে তালা মারায় আমাদের চলাচলে অসুবিধা।

এছাড়াও ঐ বাড়ীতে আমার ভাড়াটিয়া মাহমুদ হাসানের স্ত্রী ৯ মাসের অর্ন্তসত্তা মহিলাটি অবরুদ্ব হয়ে পড়েন। তার যদি হঠাৎ কোন সমস্যা হয় তবে তাকে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া বিপদ হয়ে পড়েছে বর্তমানে। তবে এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে পৌর মেয়র আলমগীর সরকার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে ফোনটি কেটে দেন পরে আর রিসিভ করেন নি।
এ ব্যাপারে রাহবা সংগঠনের সম্পাদক গোলাম মোস্তফাকে গতকাল সোমবার মুঠোফোনে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন,আপনার করে দেন আমি এখন ব্যস্ত আছি।

রাহবার সদস্যরা এক ঘেয়েমি ও শরীরের জোর দেখায় ভুক্তভোগী পরিবারটি বর্তমানে আতংকিত হয়ে অবরুদ্ব অবস্থায় রয়েছে। কখন যেন তাদের উপর হামলা হয়। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে যে কোন মুর্হূতে আইনশৃঙ্গলার অবনতিসহ গোলযোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এদিকে প্রবেশ পথের তালা খুলে নিতে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে গতকাল সোমবার অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার সোহাগ চন্দ্র সাহাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন ইউএনও মৌসুমী আফরিদা।

এ ব্যাপারে অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল মান্নান সোমবার মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পাই নি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, জমিটির সার্বিক কাগজ পত্র দেখে সরকারী সম্পত্তি হলে উভয় পক্ষকে উচ্ছেদ করা হবে।

(কেএএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮)