সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা আটকান্দিয়া গ্রামের আব্দুল বারেকের পুকুর থেকে স্কুল ছাত্র জনির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের পর নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে নিজ বাড়িতে আনা হয়।

সোমবার সন্ধ্যার আগে তার নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানাযায় অংশ নেয়া সব শ্রেণি পেশার লোকজন স্কুল ছাত্র জনির প্রকৃত হত্যা রহস্য উদঘাটন সহ প্রকৃত দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায়। শুক্রবার বিকাল থেকে নিখোঁজ হয় গগডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র জনি। মাইকে প্রচার দিয়ে খোঁজাখোজির পরও তাকে পাওয়া যাচ্ছিলনা।

রবিবার সকাল অনুমান ১১টার দিকে আব্দুল বারেকের পুকুর থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুকুর থেকে স্কুল ছাত্রের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের পর থেকেই এলাকায় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের আতংক উৎকষ্ঠা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় একটি সাধারন ডায়রী করা হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫জন কে আটক করেছে।

কেন্দুয়া থানার পেমই তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ উজায়ের আল-মাহমুদ আদনান জানান, লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানেই সুষ্ঠু ভাবে লাশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে আটককৃত ওই গ্রামের সাহাব উদ্দিন, বাচ্চু মিয়া, মাজু মিয়া, বাবুল মিয়া ও রইছ উদ্দিনকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

দাফন শেষে জনির বাবা আব্দুস সোবহান বলেন, আমি তার জন্মদাতা বাবা হলেও জনিকে লালন পালন করেছে আমার নিঃসন্তান বড়ভাই আব্দুল ক্বারী ও ভাবি ঝরনা আক্তার। জনির অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তারাও আমার মতোই শোকাহত। আমরা জনির প্রকৃত হত্যা রহস্য উদঘাটন সহ অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।

নেত্রকোনার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, স্কুল ছাত্র জনির প্রকৃত হত্যা রহস্য উদঘাটন করে দোষিদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনার সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে পুলিশের।

(এসবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮)