স্টাফ রিপোর্টার : সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে মোহাম্মদপুরের বাবর রোড ও খিলজি রোডের অবৈধ/লাইসেন্সবিহীন ১৪ ক্লিনিক ও হাসপাতাল দ্রুত বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এই নির্দেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো হলো- বিডিএম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক কপ্লেক্স, সেবিকা জেনারেল হাসপাতাল, জনসেবা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, রয়্যাল মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল, নবাব সিরাজউদ-দৌলা অ্যান্ড ড্রাগ এডিশন হাসপাতাল, মোনোমিতা মেন্টাল হাসপাতাল, প্লাজমা মেডিকেল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, শেফা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মেন্টাল হাসপাতাল, ক্রিসেন্ট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক কমপ্লেক্স, মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতাল, নিউ ওয়েল কেয়ার হাসপাতাল ও বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের নির্দেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে লাইসেন্সহীন হাসপাতাল পরিচালনা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং যারা এগুলো পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য সচিব, র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ কমিশনার, মোহাম্মাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৮ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সংযুক্ত করে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

একটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ রিট আবেদন করেন। রিটে ‘৫০০ মিটারের মধ্যে ২৬ হাসপাতাল’ শীর্ষক একটি পত্রিকার প্রতিবেদনও সংযুক্ত করা হয়।

পরে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, গত এপ্রিল মাসে মোহাম্মাদপুরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বিপরীত বাবর রোড ও খিলজি রোড সংশ্লিষ্ট এলাকায় লাইসেন্সহীন হাসপাতালের খবর একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। কিন্ত আইনানুসারে লাইসেন্সহীন হাসপাতাল পরিচালনা একেবারেই অবৈধ এবং তা পরিচালনা করা শাস্তিযোগ্য।

এ কারণে গত ৯ সেপ্টেম্বর জনস্বার্থে আমরা একটি রিট মামলা করি। আজকে এর ওপর শুনানি হয়েছে। শুনানি নিয়ে আদালত ১৪টি হাসপাতাল দ্রুত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে রুলও জারি করেছেন। রুলে লাইসেন্সহীন হাসপাতাল পরিচালনা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং যারা এগুলো পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনত কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বিবাদীদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল ‘রাজধানীতে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান : ৫০০ মিটারে ২৬টি, ১৪টিই অবৈধ হাসপাতাল’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে সে প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিট দায়ের করা হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮)