স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেশের বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি নাও করতে পারি বলে মন্তব্য করেছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে আইন, বিচার, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় কায়সার কামাল সাংবাদিকদের জানান, রিটের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই আমরা আশা করছি, অন্যান্য অধিকার ক্ষুণ্ণ হলেও তাকে সরকার চিকিৎসা দেবেন। এ বিষয়ে আমরা সরকারিরের পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করছি। আদালতকে জানিয়েছি, সরকার যদি খালেদা জিয়ার পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেন সেক্ষেত্রে হয়তো আমারদের এ মামলা পরিচালনা না করাও লাগতে পারে।

এর আগে দুপুরে খালেদা জিয়াকে দেশের বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপর ‘নট টু ডে’ (শুনানি আজ নয়) আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান, ব্যারিস্টার ফাইয়াজ জিবরান ও অ্যাডভোকেট এম জে আক্তার জাকির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

এর আগে গতকাল (১০ সেপ্টেম্বর) খালেদা জিয়ার আবেদনটি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছিল। তবে শুনানির প্রস্তুতির জন্য আরও সময় প্রয়োজন উল্লেখ করে হাইকোর্টে সময় চেয়েছিলেন তার আইনজীবীরা। এরপর মামলাটি আজ (মঙ্গলবার) নির্ধারিত দিনে কার্যতালিকায় আসলে তার ওপর শুনানি না করে পুনরায় সময় নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

পরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকার বেআইনিভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রেখেছেন। চিকিৎসা পাওয়া তার সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার। সেই অধিকার থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার তাকে বারবার বঞ্চিত করছে। এর প্রতিকার চেয়ে আমরা হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করি।

তিনি বলেন, সেই রিট আবেদনটি আজ হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ছিল। আদালতকে জানিয়েছি, আজ আমরা আবেদনটি পরিচালনা করতে চাই না। তখন আদালত কারণ জানতে চাইলে সরকার পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু উন্নতি হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এরপর আমি আদালতে জানাই বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ৫ জন ডাক্তারের নাম চাওয়া হয়েছিল, সেই তালিকা দেয়া হয়েছে।

এ পর্যায়ে আদালত খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, যেহেতু আপনারা পদক্ষেপগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন সেক্ষেত্রে ‘নট টু ডে’ থাকলো। তবে পরবর্তিতে মামলাটি কার্যতালিকায় থাকবে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮)