স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জেরর (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের দুই প্রতিষ্ঠান শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ কনসোর্টিয়াম (জোট) যে অর্থ দিয়েছে তা পুঁজিবাজারে বিয়োগের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিলে কর ছাড় দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত রজতজয়ন্তীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গত ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের দুই প্রতিষ্ঠান শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ কনসোর্টিয়াম (জোট) ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ারের বিপরীতে ৯৬২ কোটি টাকা জমা দেয়। এর মধ্য থেকে সরকারের কোষাগারে স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ ১৫ কোটি টাকা জমা দিয়েছে ডিএসই। বাকি ৯৪৭ কোটি টাকা ডিএসইর সদস্য ব্রোকারদের ভাগ করে দেয়া হবে।

ব্রোকারদের এই টাকাই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের শর্তে কর ছাড় দেবে সরকার। এ সিদ্ধান্ত তিন-চারদিন আগে নেয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইতোমধ্যে একজন ঠিক করেছি, সেটি চীনের দু'টি স্টক মার্কেট। এদের কাছে শেয়ার বিক্রি থেকে লব্ধ সমুদয় অর্থ ৩ বছরের জন্য শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের কেউ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা যখনই আমাদের কাছে দেবেন, আমরা তখনই সেক্ষেত্রে কর ব্যাপক হারে হ্রাস করে দেব। সেটাকে আমরা ৫ শতাংশে করে দেব।

'কিন্তু শর্ত হলো এই টাকা যেটা পেলেন তা আগামী ৩ বছরের জন্য আপনি সিকিউরিটি মার্কেটে রাখবেন। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হচ্ছে সিকিউরিটি মার্কেটকে শক্তিশালী করা এবং একটি আকর্ষণীয় মার্কেট হিসেবে সকলের সামনে তুলে ধরা' বলেন মুহিত।

তিনি বলেন, আজ থেকেই এ ঘোষণা কার্যকর হবে। এর জন্য সব কাগজপত্র তৈরি হয়ে আছে। পুঁজিবাজারের ঘটে যাওয়া ধসের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সিকিউরিটিজ কমিশনের বয়স ২৫ বছর। ইতোমধ্যে আমার দু'টি বিপর্যয় পর্যবেক্ষণ করেছি। এই ধস আমরা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার। কারণ দু'টি ধসই তাদের আমলে সংগঠিত হয়। তবে এই ২০১৮ সালে আমরা এখন তৃপ্তিবোধ করতে পারি। এই তৃপ্তিবোধের কারণ হলো আমাদের সিকিউরিটি মার্কেটটি সত্যিকার অর্থে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং এর অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮)