রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : এক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী। পরে তার লাশ রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার প্রচার দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার জেলপাতুয়া গ্রাম থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে।

নিহতের নাম দীপালী মণ্ডল। তিনি আশাশুনি উপজেলার জেলপাতুয়া গ্রামের মনোজিৎ কুমার মণ্ডলের স্ত্রী ও একই উপজেলার বাকড়া গ্রামের নির্মল সরকারের মেয়ে।

মৃতের বাবা নির্মল সরকার জানান, আশাশুনি উপজেলার জেলপাতুয়া গ্রামের গোয়ালডাঙা গ্রামের কার্তিক মণ্ডলের ছেলে মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে তার মেয়ে মিতালী সরকারের ছয় বছর আগে বিয়ে হয়। হৃদয় নামে তাদের তিন বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এক বছর আগে গোয়ালডাঙা গ্রামের তপন মণ্ডলের মেয়ে মিতালী মণ্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় দীপালীকে প্রায়ই মারপিট করতো মনোজিৎ ও তার মা শেফালী।

একপর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে তাকে শ্বাশুড়ি ও জামাতা মিলে নির্যাতন চালিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশের গলায় তোয়ালে জড়িয়ে রান্না ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে দীপালী আত্মহত্যা করেছে এমন প্রচার দিয়ে মনোজিৎ ও তার মা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ দীপালীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

জানতে চাইলে মনোজিৎ কুমার মণ্ডলের ০১৭৭২৭৯০৭৩২ মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে মিতালী মণ্ডলের ০১৭৮৫-৮৪৮৮৬৬ মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি তিনি।

আশাশুনি থানার উপপরির্শক মঞ্জুরুল হাসান জানান, বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮)