নাটোর প্রতিনিধি : সিঙ্গারা খেয়ে মিথিলা (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আছে নিহত শিশুর আপন বড় ভাই নাইম (৯)। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের পিঁপলা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু ব্র্যাকে এবং অসুস্থ নাইম পিঁপলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তারা দুজনে পিঁপলা কারিগরপাড়া গ্রামের নুর ইসলাম ওরফে শুকুরের ছেলে-মেয়ে। মঙ্গলবার দুপুরে অবুঝ ওই দুই শিশু গ্রামের হাবিলের দোকান থেকে দুইটি সিঙ্গারা কিনে খায়। এরপরই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

শিশুর দাদু আফজাল হোসেন বিলাপ করতে করতে বলেন, জীবিকার তাগিদে তার ছেলে এবং ছেলে বউ তিন সন্তান রেখে ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। নাতি নাতনীরা তার কাছেই থাকে। ঘটনার দিন বোন মিথিলাকে নিয়ে নাইম পাশ্ববর্তী হাবিলের দোকানে গিয়ে সিঙ্গারা কিনে খায়। ওই সিঙ্গারা খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তার নাতি নাতনী বমি করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষনিক গুরুদাসপুর হাসপতালে আনা হলে চিকিৎসক নাইমকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও মিথিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে নেওয়ার আগেই শিশু মিথিলার মৃত্যু হয়। নাইম গুরুদাসপুর হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিহত শিশুর নানা লাবু জানান, স্কুলে গিয়ে অসুস্থ হওয়ার পর বাড়িতে জাউভাত, কবিরাজি পানিসহ খাবার স্যালাইন খায়ানোর পরও সুস্থ না হলে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে সিঙ্গারার দোকানদার হাবিল বলেন, আমি সকালে এক সঙ্গে ৪৯টি সিঙ্গারা তৈরী করেছি। এখন প্রায় সব সিঙ্গারাই বিক্রি হয়ে গেছে। এর মত আরো অনেক শিশুই খেয়েছে কিন্তু তাদের তো কোন সমস্যা হয়নি।

গুরুদাসপুর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রবিউল করিম শান্ত জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারনে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে আরেক শিশু নাইম আশংকামুক্ত।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সেলিম রেজা জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এডিকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮)