রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানা পুলিশ কোটি টাকা মূল্যের একটি তক্ষক উদ্ধার করে রংপুর চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করেছে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের বড়গ্রাম গ্রামের জাহের আলীর বাড়ীতে ১২ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে রাঙ্গমাটি থেকে এক ব্যক্তি একটি তক্ষক নিয়ে আসে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজারহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে এএসআই লোকমান ও এএসআই মোস্তাকিমুল সঙ্গীয় একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই রক্ষকের মালিক মহন মারমা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় তক্ষকটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এটি ভারতে পাচার করা হতো বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে। এক শ্রেণির পেশাদার পাচারকারী এটি কোটি টাকায় কিনে পাচার করে আসছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

১৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেসুর রহমান রংপুর চিড়িয়াখানায় খবর দিলে চিড়িয়াখানার এ্যানিমেল কেয়ার টেকার( প্রাণি রক্ষনাবেক্ষক) নজরুল ইসলাম রাজারহাট থানায় আসে। ওইদিন সকালে রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আবুল হাসেম, মহিলা ভাইস চেয়াম্যান কোরায়শী লায়লা বীথি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহঃ রাশেদুল হক প্রধান, রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোখলেসুর রহমান ও ঘড়িয়াডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার তক্ষকটিকে রংপুর চিড়িয়াখানার এ্যানিমেল কেয়ার টেকার( প্রাণি রক্ষনাবেক্ষক) নজরুল ইসলাম কাছে হস্তান্তর করেন। তক্ষকটি দেখতে কালো সাদা লালচে রংয়ের, ওজন প্রায় আড়াইশ গ্রাম, লম্বায় ১০ ইঞ্চি ও লেজের দিকে ৬টি ডোরা কাটা রয়েছে।

কেয়ার টেকার নজরুল ইসলাম জানান, চিড়িয়াখানায় কোন তক্ষক নেই। তাই এটি নিয়ে গিয়ে খাঁচায় বন্দী করে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

বিষয়টি রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোখলেসুর রহমান নিশ্চিত করে বলেন, শুনেছি তক্ষক লম্বায় ১৮ ইঞ্চি ও ওজর আড়াইশ গ্রামের উপরে হলে ৩/৪ কোটি টাকা মুল্য দিয়ে পাচারকারীরা কিনে নিয়ে পাচার করে। তবে এটির মূল্য এতা হবে না বলে তিনি জানান।

(পিএমএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮)