স্টাফ রিপোর্টার : ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) বলেছেন, শিল্প ঋণে সুদহার ৯ শতাংশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী অনেক আগেই নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু সরকারি কয়েকটি ব্যাংক ও বেসরকারি অল্প সংখ্যক ব্যাংক এ নির্দেশনা প্রতিপালন করেছে। বাকিগুলো এখনো ৯ শতাংশ সুদহারে ঋণ দিচ্ছে না। কিন্তু বর্তমানে প্রেক্ষাপটে ১২, ১৪, ১৫ শতাংশ সুদহারে ঋণ নিয়ে শিল্প স্থাপন সম্ভব নয়।

আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত সিআইপিদের হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বিকেএমইএ’র সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তপন চৌধুরী প্রমুখ।

শফিউল ইসলাম বলেন, শিল্প ঋণে সুদহার ৯ শতাংশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী অনেক আগেই নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু সরকারি কয়েকটি ব্যাংক ও বেসরকারি অল্প সংখ্যক ব্যাংক এ নির্দেশনা প্রতিপালন করেছে। বাকিগুলো এখনো ৯ শতাংশ সুদহারে ঋণ দিচ্ছে না। যদি রেগুলেটরি বডিগুলো সঠিকভাবে কাজ করতো, তাহলে এমনটি হতো না। ব্যাংকগুলো অজুহাত দেখাচ্ছে যে, তারা ১২ শতাংশে আমানত গ্রহণ করে কিভাবে ৯ শতাংশে ঋণ দেবে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১২, ১৪, ১৫ শতাংশ সুদহারে ঋণ নিয়ে শিল্প স্থাপন সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, শুধু স্যাম্পল ঠিক মতো পাঠাতে না পরার জন্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রফতানি সম্ভব হয় না। এয়ারপোর্টে চার-পাঁচটি মন্ত্রণালয় কাজ করে। তাদের কাজে যদি আরও একটু সমন্বয় আনা হয় তাহলে এ ২ বিলিয়ন ডলারের রফতানি বাড়ানো সম্ভব হতো।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের ছোট ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে ব্যবসা করছে। বিভিন্ন এজেন্সি নানা অডিটের নামে তাদের হয়রানি করছে। বাংলাদেশে কোনো উদ্যোক্তা বিনিয়োগ করে যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তার ফিরে আসার আর কোনো পথ থাকে না। অর্থ ঋণ আদালতে ঘুরতে ঘুরতে তার জীবন শেষ হয়ে যায়। তাই উদ্যোক্তাদের জন্য একটা ‘এক্সিট পলিসি’ দরকার।

এসডিজি বাস্তবায়নে আগামীতে প্রায় ৯০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। তাই বিনিয়োগ পলিসিকে আরও আকর্ষণীয় করার আহ্বান জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮)