আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন রাওঘা গ্রামে ভোগদখলীয় জমি নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে নিজাম মোল্লার পরিবার। এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু আনোয়ার মৃধা গং তার বাহিনী নিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের হয়রানি করছে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আনোয়ার মৃধার বাবা মৃত বারেক মৃধা বিভিন্ন তারিখে একাধিক সাব-কবলা দলিল মূলে বরগুনা জেলাধীন আমতলী উপজেলার অন্তর্গত জে,এল ২৬নং দক্ষিন রাওঘা মৌজার এস,এ ১৬২নং খতিয়ানের ১.৩ একর এবং একই মৌজার ৩২৮নং খতিয়ানের ৭০.৫ শতাংশ জমি নিজাম মোল্লা গং এর কাছে বিক্রি করে দখল হস্তান্তর করে। সেই থেকে নিজাম মোল্লা গং উক্ত সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছে। বারেক মৃধার মৃত্যুর পর তার ছেলে আনোয়ার মৃধা উক্ত জমি জবর দখল করার চেষ্টা করে এবং নিজাম মোল্লা গং কে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে এলাকায় বহু সালিশ ব্যবস্থা হলেও তাতে কোন কর্নপাত করছেন না আনোয়ার মৃধা গং।

গত ১০/০৮/১৮ তারিখ নিজাম মোল্লা ও ১৪/০৮/১৮ তারিখ নিজাম মোল্লার ভাই রুহুল আমিন মোল্লা উক্ত জমি চাষাবাদ করাকালে আনোয়ার মৃধা গং অবৈধভাবে জোর পূর্বক তাদের চাষাবাদে বাধা প্রদান করলে এবং খুন জখমের হুমকি প্রদান করলে মোঃ নিজাম উদ্দিন মোল্লা ও মোঃ রুহুল আমিন মোল্লা আনোয়ার মৃধা গং এর বিরুদ্ধে আমতলী থানায় দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। আমতলী থানা পুলিশ মোঃ নিজাম উদ্দিনের অভিযোগটি তদন্ত করে বাদীর অভিযোগ সত্য মর্মে আমতলী কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

এ বিষয়ে নিজাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, উক্ত সম্পত্তি আমরা পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে দীর্ঘ বছর যাবৎ শান্তিপূর্নভাবে ভোগদখল করে আসছি। আনোয়ার মৃধা গং তার পিতা বারেক মৃধার মৃত্যুর পর বিভিন্ন ভাবে আমাদের হয়রানি করে আসছে এবং কোন সালিশ ব্যবস্থা মানে না। এলাকার কিছু বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের ছত্রছায়ায় ও কু পরামর্শে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে আনোয়ার মৃধা গংরা।

এ বিষয়ে আনোয়ার মৃধার সাথে যোগাযোগ এর চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।

এ বিষয়ে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “উক্ত সম্পত্তি মোঃ নিজাম উদ্দিন গং এর বৈধ সম্পত্তি। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছে। আনোয়ার মৃধা গং তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। আমি একাধিকবার তাদের নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসেছি কিন্তু আনোয়ার মৃধা গং সালিশের কোন রায়ই মানে না।”

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. নুরুল ইসলাম বাদল বলেন বিষয়টি সম্পর্কে বাদীর অভিযোগ যাচাই করে সত্যতা পেয়ে কোর্টে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। বিশৃংখলা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

(এন/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮)