সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া  (নেত্রকোনা) : যৌতুকের জন্য নাজমা আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ অভিযোগে পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী সঞ্জু মিয়াকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার করে। হত্যার এ ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের ১২ জুন স্বামীর বাড়িতে। 

গৃহবধূ নাজমা আক্তারের বাবার বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের বেজগাও গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আমির হোসেনের কন্যা। ঘটনার আট নয়মাস আগে একই উপজেলার দলপা ইউনিয়নের ভাদেড়া গ্রামের আব্দুস ছোবানের ছেলে সঞ্জু মিয়ার সঙ্গে রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে তার বিয়ে হয়। এই বিয়ে নাজমা আক্তারের এবং সঞ্জু মিয়ার দ্বিতীয় বিয়ে।

নাজমা আক্তারের মা বেগম আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ের জামাই সঞ্জু মিয়া যৌতুকের টাকার জন্য নানাভাবে নাজমার ওপর চাপ দিত, এমনকি শারীরিকভাবেও নির্যাতন করত।

ঘটনার দিন সঞ্জু মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা লোকমুখে প্রচার দেয়, নাজমা আক্তার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাজমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করা হয়েছিল। কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস আই আব্দুর রাজ্জাক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে (১৩ সেপ্টেম্বর) ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমরা হাতে পেয়েছি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে নাজমা আক্তারকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। এর পর পরই নাজমার স্বামী সঞ্জুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নাজমা আক্তারের মা বেগম আক্তার বাদী হয়ে নাজমার স্বামীসহ ৩ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

(এসবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮)