ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : মাদক বিক্রেতা ও পুলিশ- র‌্যাবের কথিত সোর্সের অপকর্মের প্রতিবাদে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের ফরিদপুরের হঠাৎপাড়া গ্রামে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে মাদক বিক্রেতা ও কথিত সোর্স আশরাফুল ও রেজাকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে এলাকার  অতিষ্ঠ শত শত নারী ও পুরুষ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন। 

মানববন্ধনে এলাকার ইউপি মেম্বার সাহেব আলী বলেন, আশরাফুল একদিকে মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতা। সে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় এলাকার সাধারণ মানুষকে হুমকি-ধামকি ও হয়রানি করছে। আশরাফুল প্রশাসনের লোকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এলাকার নিরীহ লোকদের ধরিয়ে দেয়। পরে আবার টাকা-পয়সা লেনদেন করে ছাড়িয়ে আনতে হয়। টাকা না দিলে চরম নির্যাতন করা হয়। তাই এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে আজ এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের আয়োজন করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এসময় এলাকার আমজাদ হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে আশরাফুল মিথ্যা তথ্য দিয়ে এলাকার কয়েকজন নিরীহ তরুণকে পুলিশ ও র‌্যাব-৫ কে ধরিয়ে দেয়। এদের মধ্যে রনিকে প্রচন্ড মারধরের পর গত ১২ই সেপ্টেম্বর র‌্যাব বাড়িতে দিয়ে যায়। গুরুতর আহত রনি এখন ঈশ্বরদী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন।

খোদেজা খাতুন জানান, আশরাফুল প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে এলাকার নিরীহ ছেলেদের ধরিয়ে দিবে বলে ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা আদায় করতো। টাকা না দিলে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী বলে মিথ্যা অভিযোগে ধরিয়ে নির্যাতন এবং ছাড়িয়ে আনার জন্য টাকা-পয়সা আদায় করতো।

এলাকাবাসীরা আরো জানান, আশরাফুল ঈশ্বরদী থানার এএসআই রফিক এবং কনেষ্টবল সামিউল এর সোর্স হিসেবে কাজ করে। তাদের প্রশ্রয়ে আশরাফুল এলাকার নিরীহ লোকদের বিভিন্নভাবে হয়রানির পাশাপাশি নির্বিঘেœ মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে এএসআই রফিক জানায়, আশরাফুল পুলিশের কোন সোর্স নয়। সে আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকার লোকজনের নিকট হতে টাকা-পয়সা আদায় করে বলে আমরাও অভিযোগ পেয়েছি। তাছাড়া সে মাদক বিক্রেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে থানায় দুটি মাদক মামলা দায়ের এবং তাকে দুই দফা আটকও করা হয়।

(এসকেকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮)