প্রসেনজিৎ দাস, ভারত প্রতিনিধি : বিজয় মালিয়াকে নিয়ে ব্যাকফুটে মোদী সরকার। নিজেদের বিচারে ত্রুটির কথা স্বীকার করে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সূত্রের খবর এমনটাই। 

সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিবিআই জানায়, ২০১৫ সালে বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে থাকা লুক আউট নোটিস-এ আটক শব্দ থেকে তার যাতায়াতের ওপর নজরদারি, এমনই পরিবর্তন করা হয়েছিল। তবে পিঠ বাঁচাতে এর পিছনে কারণও দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিজয় মালিয়া সেই সময় তদন্তে সাহায্য করছিলেন, সেই জন্যই এই পরিবর্তন করা হয়েছিল। বলছে সিবিআই। সেই সময় বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে কোনও ওয়ারেন্ট ছিল না বলেও জানা গিয়েছে।

সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছিল ২০১৫-র ১২ অক্টোবর। সেই সময় মালিয়া বিদেশে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, তার ফিরে আসার পর সিবিআই জানায়, বিজয় মালিয়াকে গ্রেফতার কিংবা আটক করার দরকার নেই। কেননা সেই সময় তিনি সাংসদ ছিলেন। তার গতিবিধির ওপর নজরদারি চালালেই হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী এমনটাই জানানো হয়েছিল সিবিআই-এর তরফে।

এছাড়াও তদন্ত প্রক্রিয়া ছিল একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। সেইসময় সিবিআই আইডিবিআই-এর কাছ থেকে ৯০০ কোটি টাকা ঋণের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছিল। সিবিআই-এর তরফে ২০১৫-র নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে নতুন করে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়। দেশের সব বিমানবন্দরকে বিজয় মালিয়ার গতিবিধি সম্পর্কে জানাতে বলা হয়। যদি তিনি দেশান্তরিত হওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে তাকে আটক করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, মালিয়া ২০১৫-র অক্টোবরে বিদেশ গিয়ে নভেম্বরে ফিরে আসেন। পরে ডিসেম্বরের প্রথম ও শেষ সপ্তাহে এবং ২০১৬-র জানুয়ারিতে বিদেশ সফর করেছিলেন। এরমধ্যে লুক আউট নোটিসের প্রেক্ষিতে, ২০১৫-র ৯ থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে একবার নতুন দিল্লি এবং দুবার মুম্বইয়ে তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজিরা দিয়েছিলেন।

সিবিআই-এর তরফে নিজেদের ভুল স্বীকার করে জানানো হয়েছে, তাদের নোটিসে পরিবর্তন নিজেদের বিচারে ত্রুটির কারণেই হয়েছে। ২০১৬-র ২ মার্চ বিজয় মালিয়া দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

(পিডি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮)