আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া চন্দ্রা গ্রামে রেকর্ডীয় মালিকদেরকে জমি চাষে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রেকর্ডীয় মালিক মোঃ ইদ্রিস হাওলাদার বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামী করে মোকাম আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলাধীন আমতলী উপজেলার চন্দ্রা মৌজার এস,এ ৭৪৩নং খতিয়ানের ৯৬১, ৯৩৮ ও ৯৬১নং দাগের সম্পত্তির রেকর্ডীয় মালিক মোঃ ইদ্রিস হাওলাদার গং। উক্ত সম্পত্তি নিয়া কতিপয় আসামীদের সাথে বিরোধ দেখা দিলে মোঃ ইদ্রিস হাওলাদারের দাদা বাদী হয়ে মোকাম বরিশাল ১ম সাব জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করে। যার দেওয়ানী মোকদ্দমা নং- ২৫২/৬২।

মোকদ্দমায় বাদী পক্ষ রায় ও ডিক্রি প্রাপ্ত হয়। অত:পর উক্ত সম্পত্তি মোঃ ইদ্রিস হাওলাদার গং এর নামে রেকর্ড হয় এবং তারা দীর্ঘ বছর যাবত উক্ত সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছে। অত:পর গত ৩০/০৮/১৮ইং তারিখ বাদীপক্ষ উক্ত সম্পত্তি চাষাবাদ করতে গেলে মোঃ বাবুল মুন্সী গং বে-আইনী জনতাবদ্ধে সংঘবদ্ধ হইয়া তাদের মারধর করে জমি চাষে বাধা দেয় এবং পাওয়ার টিলার ভাংচুর করে। উক্ত ঘটনায় মোঃ ইদ্রিস হাওলাদার বাদী হয়ে মোঃ বাবুল মুন্সী গং এর ১৮ জনের বিরুদ্ধে মোকাম আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি নালিশি মামলা আনায়ন করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আগামী ০৮/১১/১৮ইং তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।

এ বিষয়ে মোঃ ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, উক্ত সম্পত্তি আমার দাদা, বাবা এবং বর্তমানে আমরা রেকর্ডীয় মালিক হিসাবে ভোগদখল কওে আসছি। আসামীপক্ষ জোরপূর্বক উক্ত সম্পত্তি ভোগদখল করতে চায়।
এ বিষয়ে বাবুল মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।

এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন মিলন জানান, তদন্ত চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন প্রদান করা হবে।

(এন/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮)