সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : বর্বরতাকে হার মানিয়েছে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে গলাচিপা উপজেলার লোন্দা গ্রামে। গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় হাউমাউ করে কেঁদে দেন সাংবাদিকদের সাথে শনিবার।

সূত্র জানায়, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আলো বেগমকে লাথি মেরে ও পিটিয়ে বিবস্ত্র করে দেয় পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটলে গুরুত্বর আলো বেগমকে স্থানীয় লোকজন ওই রাতে উদ্ধার করে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আলো বেগম জানান, তার স্বামী খোকন ফকির । সে অন্যের সাথে মাছ ধরার জন্য প্রায়ই সাগরে যেত। আমি বর্তমানে একা ও টাকা পয়সা দিয়ে চিকিৎসা চালানো কষ্টকর। ইব্রাহিম চকিদারসহ তার পুত্ররা আমিসহ আমার মেয়েকে সর্বত্র অসৈজন্য মূলক আচরন করত।

গত মঙ্গলবার এ সব ঘটনা নিযে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় তার স্বামীর অনুপস্থিতে তার বাড়ির পাশে পরি বেগম(৪৮), লালন ফকির, রনি ফকির রুমা ও দলবদ্ধ হয়ে আলো বেগমকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে আঘাত করে ও বিবস্ত্র করে পড়নের কাপড় জোর করে টেনে হেসড়ে নিয়ে যায় এবং সাথে সাথে আলো বেগম জ্ঞান হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।

আলো বেগম আরো জানান, অভিযুক্তদের কারনে আমার মেয়েকে বাল্য বিবাহ দিতে হয়েছে । এরা এলাকায় গাজা মদ খেয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে। আলো বেগমকে চাপা মার দেয়া হয়েছে তাকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরনের প্রস্তুতি চলছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্তরা জানান, তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করার করার কারনে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদি জানান, আলো বেগমকে মারধর করেছে ও বিবস্ত্র করার ঘটনা সত্য। তাকে থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল । থানা থেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে স্থানীয় রুহুল আমিন চকিদারকে ঘটনার পরের দিন ঘটনাস্থলে পৌছে গিয়ে পড়নের কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে।

(এসডি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮)