রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : জাতীয়করণ নীতিমালা অনুযায়ী সব ধরনের যোগ্যতা থাকা শর্তেও জাতীয়করনের ঘোষনাই এখনও নাম নেই ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈলের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শিক্ষার আলো ছড়ানো উপজেলার শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের।

জাতীয়করণের প্রাথমিক তালিকায় সমগ্রহ দেশের কলেজের সাথে রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের নাম ছিলো। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে সম্প্রতি ২৭১টি কলেজ জাতীয়করনের প্রজ্ঞাপনে রানীশংকৈলের একমাত্র জাতীয় করনের যোগ্যতা সম্পূর্ণ কলেজ রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের নাম নেই। উপজেলার মানুষ সরকারী কলেজের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কেন এই বঞ্চিত প্রশ্ন সাধারন মানুষের? এলাকাবাসীর প্রশ্ন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে যে কলেজ মাঠে এসে চার উপজেলার মানুষ নিয়ে জনসভা করেছিলেন সেই কলেজের নাম রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ। অথচ এই কলেজটিই জাতীয়করন না হওয়ায় আমরা হতাশ। এলাকাবাসীর দাবী অতিশ্রীঘই কলেজটি জাতীয়করনে ঘোষনা করা হোক।

কলেজ সুত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালে স্থানীয় আ’লীগ নেতা মরহুম আলী আকবর এমপির সার্বিক সহযোগিতায় স্থাপিত হয় রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ। বর্তমানে এই কলেজ পাঁচ একর জমির উপরে ৭টি বহুতল ভবনসহ এইচএসসি ডিগ্রী ও অর্নাস কোর্সে মোট শিক্ষার্থী প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক, শিক্ষক সংখ্যা প্রায় শতাধিক। আরো রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য বিএনসিসি ও রোর্ভাস প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা এছাড়াও গার্লস ইন রোর্ভাস প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা।

২০১৫ সালে জাতীয় করনের তালিকায় আবেদন করে রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ যার নং ৫৭। এর পর প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে সমগ্রহ দেশের জাতীয়করনের প্রাথমিক তালিকায় রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের অবস্থান ছিলো ১২৩ নম্বরে। সব ঠিক ঠাক ছিলো কিন্তু হঠাৎ করেই জাতীয়করনের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে স্থগিত করা হয় জাতীয়করনের কার্যক্রম। স্থগিত আদেশ পাওয়ার পর ফুসে উঠে রানীশংকৈলের সর্ব দলীয় মানুষ। এ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসুচিও পালন করে রানীশংকৈলবাসী। কিন্তু শেষ প্রর্যন্ত কলেজ জাতীয়করনের প্রজ্ঞাপনে রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের নাম না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন উপজেলাবাসী।

উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রভাষক সফিকুল আলম বলেন,দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে এই উপজেলায় শিক্ষার আলো ছড়াতেই প্রতিষ্ঠা করা হয় এই কলেজ। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরে রানীশংকৈলে এসে যেখানটায় দাড়িয়ে ভাষন দিয়েছিলেন সেটিই হচ্ছে রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ। আর এই কলেজ জাতীয়করন হচ্ছে না এটি দুঃখজনক।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আশাবাদী আমাদের কলেজটি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সব কিছু বিবেচনা করে অবশেষে জাতীয়করনের তালিকায় অন্তভুক্ত করার সম্মতি দিবেন।
ঠাকুরগাও-৩ আসনের সাংসদ অধ্যাপক ইয়াসিন আলী গতকাল রোববার মুঠোফোনে বলেন,অজ্ঞাত কারনে রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের জাতীয়করনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি আশা রাখি খুব শ্রীঘই জাতীয়করনের চুড়ান্ত তালিকায় কলেজের নাম উঠে আসবে।

(কেএএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮)