স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপি নেতৃত্বের কাছে বার বার প্রশ্ন করছি বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত, খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করতে কেন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, হত্যাকারীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে কেন লাখো শহীদের রক্তের অক্ষরে রচিত সংবিধান পরিবর্তন করে পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল? তারা আজও এই প্রশ্নের জবাব দেয়নি। আমি আবারও সেই প্রশ্নের জবাব চাচ্ছি।’

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য অনলাইনে স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এই প্রশ্ন রাখেন।

সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব ৭১, কানাডা আওয়ামী লীগ অল ওভারসিস বাংলাদেশি, মুভমেন্ট ফর ডিপারটেশন অব কিলার নুর চৌধুরী টু বাংলাদেশ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপু মনি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যে খুনিদের আজকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমদের কূটনৈতিক প্রয়াস এমনকি মামলা পর্যন্ত করতে হচ্ছে সেই খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়ে গিয়েছিলেন কে? এই খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন কে? এই খুনিদের বিচার হবে না এই মর্মে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন কে? তিনি জিয়াউর রহমান।’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কাজ শেষ হয়েছে এবং হত্যাকারীদের অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়া আমার জানামতে ছয় খুনি বিদেশে আছেন। তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জোরদার হচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন খুনি রাশেদ চৌধুরী। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনা হয়েছে, এ ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। তারা আমাদের সহযোগিতা করছে। তেমনি নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কাছে পিটিশন দেয়ার লক্ষ্যে এখানে স্বাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন হচ্ছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮)