চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিশেষ কৌশলে পরিকল্পনা নিচ্ছে কর্ণফুলী প্রশাসনও। যে কোন বিশৃংখলা এড়াতে পুলিশ কঠোর হতে পারে এমন ইংগিত পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকও করেছেন।

যে কোন ধরনের সামাজিক পরিবেশ ও জনগণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাঠে থাকা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা। সে লক্ষে বিভিন্ন অপরাধীদের ধরতে শিগগির কর্ণফুলীতেও শুরু হচ্ছে বিশেষ অভিযান। এমন ও হতে পারে এই অভিযানে যুক্ত হচ্ছে বিশেষ কোন বাহিনী।

সূত্র জানায়, উপজেলার শান্ত পরিবেশ যাতে অশান্ত না হয় সে জন্য বিএনপি ও জামায়াতের মাঠপর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের তালিকাও তৈরী হচ্ছে। কোন-কোন এলাকায় কারা বিশৃংখলা করতে পারে এবং কারা পলাতক আসামি হিসেবে প্রশাসনের আড়ালে রয়েছে তাদের ডাটা সংগ্রহ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচনকে সামনে রেখে যেকোনো ধরনের সরকার বিরোধী আন্দোলন মোকাবেলার কৌশল নিয়ে হোমওয়ার্ক শুরু করেছে মাঠে থাকা বিভিন্ন গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আন্দোলনে যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- ঠেকাতে উপজেলা জুড়ে বিশেষ টহল টিম এবং অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে ইংগিত পাওয়া পাওয়া যায়।

পাশাপাশি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যে জামায়াত, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের হালনাগাদ তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। তালিকায় বিশেষ করে আন্দোলনের নামে নাশকতা চেষ্টার সন্দেহভাজন এবং গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও বোমাবাজি মামলার আসামিদের নাম স্থান পাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করা কর্ণফুলী থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিশৃংখলা করার উদ্দ্যেশে একটি জোট উপজেলায়ও আন্দোলনে নামতে পারে বলে তথ্য রয়েছে। আর এই আন্দোলনে হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, পদযাত্রাসহ নানা ধরনের কর্মসূচি থাকতে পারে। এসব কর্মসূচি ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে।

বিশেষ সুত্রে আরো জানা যায়, কর্ণফুলীতেও বিএনপি-জামায়াতের সন্দেহভাজন বিশৃঙ্খলাকারীদের তালিকা করে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে নানা গোয়েন্দা বাহিনী।

এমনকি জানা যায়, সম্ভাব্য আন্দোলন মোকাবেলায় প্রশাসনকে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি রাখতে শুরু করেছে উপরের প্রশাসন।

আন্দোলনের নামে নাশকতামূলক কর্মকা- চালাতে পারে এমন সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারে আন্দোলন শুরু করার আগেই বিশেষ অভিযান শুরু করা হবে। এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে। যদিও কর্ণফুলীতে জামাত বিএনপি নড়াচড়া করতে শুরু করেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে যে কোন সময় মাঠে নামতে পারে জামাত বিএনপি এমনও তথ্য রয়েছে।

অনেক নেতাকর্মীকে নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা যায় আবার সক্রিয়ও। তবে রাজনীতির মাঠে তেমন সংঘাতে জড়ায়নি কর্ণফুলী উপজেলায় কোন রাজনৈতিক দল। কেননা সকলে একে অপরের পরিচিত ও আত্বীয় হওয়ায় সহজে মুখোমুখি হতে দেখা যায়নি। প্রশাসনও অনেকটা নীরবে এগোচ্ছে পর্যবেক্ষণ এর দৃষ্টিতে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর জোনের নবনিযুক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হামিদুল আলম বলেন, “এই মুর্হুতে আমাদের ব্লক রেইড বা বিশেষ কোন অভিযান নেই তবে শান্ত পরিবেশকে কেউ অশান্ত করার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে”।

(জেজে/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮)