সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি : মশা একটি মারাত্তক পতঙ্গ তা সকলেরই জানা। রক্তপায়ী এ পতঙ্গের হাতে বিরক্ত হয়নি এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না। এর চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর, ম্যালেরিয়া, হলুদ জ্বর সহ নানা রোগের সংক্রামক ছড়িয়ে থাকে। সুজানগর পৌর এলাকা সহ বিভিন্ন স্থানে মশার উৎপাত বেড়েই চলেছে, হচ্ছে মানুষের ভুগান্তি, শিশুরা ডেঙ্গু জ্বর ও ম্যালেরিয়া হচ্ছে আক্রান্ত।

সুজানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মাদ আলী মাস্টার বলেন পৌর এলাকায় ড্রেন, নালা, বান্নাই খাল ও বিভিন্ন খালা-খন্দ ময়লা আর্বজনা দিয়ে ভরা, নেই নি:ষ্কাশনের ব্যবস্থা। ময়লা আর্বজনায় ছোট বড় গর্ত থাকার কারণে যেখানে-সেখানে পানি জমে হচ্ছে দূষিত, এ কারণে জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর, ম্যালেরিয়া, হলুদ জ্বর ও অসুখের সংক্রামক। সুজানগর পৌর সভার কোন কর্মকর্তার এ বিষয় নিয়ে নেই কোন মাথা ব্যাথা? নেই মশা নিধনের কোন পদক্ষেপ।

মশা একটু নোংরা, ময়লা, আবর্জনা, ছোট খালে পানি, বা ভেজা জায়গা পেলেই সেখানে ডিম পারে, আর সে ডিম থেকেই তৈরি হচ্ছে হাজারো মশা। সুজানগর পৌর মেয়রের কাছে মশা নিধনের জোর দাবী জানান। সেই সাথে বান্নাই খালটি পরিস্কার রাখলে ও সঠিক ভাবে পৌর এলাকার ড্রেন, নালা ও খাল-খন্দের আর্বজনাসহ পানি সঠিক ভাবে নিঃষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে মশাও ডিম পাড়ার জায়গা পাবে না। আর এসকল রোগ হতে নিজে ও এলাকার সকল মানুষকে নিজের বাড়ীর আশ-পাশ যেখানে পানি ও ময়লা জমে থাকে, সেই জায়গা গুলো ভালভাবে পরিস্কার রাখতে হবে। পৌর শহরে অধিকাংশ জায়গাতে রাস্তার পাশে সন্ধার পর দাঁড়ালেই বোঝা যায় মশার কি যন্ত্রনা।

কাঁচারীপাড়া মহল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেন মশার উপদ্রবে গরমের সময় বাসাবাড়ী ও খোলা জায়গাতে একটু বিশ্রাম নেওয়ার কথা তো বলাই বাহুল্য, সন্ধ্যা না হতেই মশার কাঁমড় শুরু হয়, মশার কামড়ে শিশুদের চুলকাতে চুলকাতে ঘাঁ হয়ে যায়, বিভিন্ন রোগে ভোগে।

জিরোপয়েন্ট মোড়ের প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব এ কে এম বন্দে আলী বলেন এলাকার ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন যাবত পরিস্কার না করায় অধিকাংশ জায়গা ও বাড়ীর আঙ্গিনায় জঙ্গলে নিয়মিত বিষ প্রয়োগ না করায় যেখানে-সেখানে মশা ডিম পারে, যার কারণে মশার উৎপাত বেশি হচ্ছে। সরকারী ভাবে যদিও মশা নিধনের জন্য পৌর সভায় দেওয়া হয় মেশিন ও ঔষুধ কিন্তু হয়না তার যথাযথ ব্যবহার।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮)