সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : যৌতুকের জন্য নাজমা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী সঞ্জু মিয়াকে গ্রেফতারের পর নেত্রকোনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্ত্রী নাজমা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বামী সঞ্জু মিয়া। 

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের বেজগাও গ্রামের ওই গৃহবধূ নাজমা আক্তারের বাবার বাড়ি । সে মৃত আমির হোসেনের কন্যা। চলতি বছরের ১২ জুন একই উপজেলার দলপা ইউনিয়নের ভাদেড়া গ্রামের স্বামীর বাড়িতে এ হত্যার ঘটনাটি ঘটে । ঘটনার আট নয়মাস আগে ভাদেড়া গ্রামের আব্দুস ছোবানের ছেলে সঞ্জু মিয়ার সঙ্গে রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে তার বিয়ে হয়। এই বিয়ে নাজমা ও সঞ্জু মিয়ার দ্বিতীয় বিয়ে।

নাজমা আক্তারের মা ও মামলার বাদী বেগম আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকেই সঞ্জু মিয়া তার মেয়ে নাজমাকে যৌতুকের টাকার জন্য নানাভাবে অত্যাচার করত। করত শারীরিকভাবেও নির্যাতন। ঘটনার দিন যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় সঞ্জু মিয়া নাজমা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্যহত্যা করে বলে প্রচার দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাজমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কেন্দুয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জের হাতে আসে। রিপোর্টে গৃহবধূ নাজমাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা উল্লেখ থাকায় পুলিশ ওই দিনই নাজমার স্বামী সঞ্জু মিয়াকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নাজমা আক্তারের মা বেগম আক্তার বাদী হয়ে নাজমার স্বামী সঞ্জু ও তার দুই ভাইকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কেন্দুয়া থানা পুলিশের এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলেন গ্রেফতারকৃত সঞ্জু মিয়াকে আদালতে পাঠালে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট সঞ্জু মিয়া স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তিনি আরো জানান মামলার অপর দুই আসামীকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(এসবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮)