চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার চিকনাই, বড়াল ও গুমানী নদীসহ খলিশাগাড়ী বিল, ডিকশি বিল, কাটা জোলাসহ বিভিন্ন বিলের মুখে আড়াআড়িভাবে বাঁশের বেড়া দিয়ে ও সোঁতিজালের ফাঁদ পেতে মাছ নিধনের প্রস্তুতি চলছে। প্রতি বছরই প্রভাবশালীরা এসকল সুতিবাঁধ স্থাপন করে মাছ নিধনের উৎসব শুরু করে।

ইতোমধ্যে ধরমগাছা ব্রিজের নিচে সোঁতি বাঁধ স্থাপন করে মাছ নিধন শুরু করা হয়েছে। ফলে দেশীয় প্রজাতির পোনা মাছসহ বিভিন্ন জাতের মাছের বংশ বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয় মৎস্যজীবিরা। একই সাথে স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ সকল বাঁধ ও সুতি জাল স্থাপন করলে বিলের পানি নিষ্কাশনে বাঁধা প্রদান হলে আগামী রবিশস্য আবাদ ব্যাহত হবে।

হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান কে এম জাকির হোসেন জানান, প্রভাবশালীরা ইতোমধ্যেই সোঁতিবাঁধ স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বাঁশ পোঁতা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোঁতি বাঁধ স্থাপন না করার জন্য নির্দেশনা জারি করেছেন। করা হয়েছে মাইকিং। গত ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভাতেও সোঁতি বাঁধ স্থাপনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার সভায় জানান, এবার কোনভাবেই সোঁতি বাঁধ স্থান করতে দেওয়া হবে না। গত বছর প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি সোঁতি জাল অপসারণ করে। প্রতি বছরই বিলচলন ইউনিয়নের নটাবাড়িয়াতে ২টি, ছাইকোলাতে ২টি, হান্ডিয়াল পাকপাড়া এলাকায় ২টি, ধরমগাছা ব্রিজের পাশে, কাটা জোলা, চিকনাই নদীর বিভিন্ন স্থানে, ডিকশি বিলের মুখের সোঁতিজাল স্থাপন করে থাকে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। বিশেষ ধরণের জাল দিয়ে পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছ ও পোনা। ।

চাটমোহর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, সোঁতি বাঁধ স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রশাসন সজাগ। সোঁতিবাঁধ স্থাপন না করার জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় অথবা তাদের মালিকানাতেই এ সকল অবৈধ সোঁতিজাল স্থাপন করে মাছ নিধন করে থাকেন

(এসএইচএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮)