আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি : আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা নুরুল হক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার পরপরই ওই ভবনের সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে সকল শিক্ষার্থীদের সরিয়ে পাশের একটি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনে নেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাতাকাটা নুরুল হক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ কক্ষের ভবনটি ১৯৯৪ সালে নির্মান করা হয়। নির্মানের পর এ পর্যন্ত আর কোন সংস্কার করা হয়নি। ফলে ভবনটির দেয়ালের পলেস্তারার খসে পড়েছে। বর্ষার সময় ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ার পরও বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় নিরুপায় হয়ে শিক্ষকরা ওই ভবনে স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির প্রথম সিফট এর ক্লাশ শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বের হওয়ার সময় আকস্মিক বিকট শব্দ করে ভবনের ছাদ ধসে পড়তে শুরু করে। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। অনেক শিক্ষার্থীরা দৌড়ে বাইরে আসতে পারলেও অনেকে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে বেঞ্চের নীচে আশ্রয় নেয়। এ সময় ইট ও শুরকির আঘাতে চতুর্থ শ্রেনির উস্মিতা, মরিয়ম ও লামিয়া এবং পঞ্চম শ্রেণির ওবায়দুল ও ইমন নামে ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিচ নাহার জানান, বিদ্যালয় ভবনটি অনেক পুরানো। ব্যাবহার অনুপযোগী হওয়া সত্ত্বেও নিরুপায় হয়ে ব্যবহার করছি। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় প্রথম ব্যাচের ক্লাশ শেষে শিক্ষার্থীরা বের হচ্ছে এ সময় আকস্মিক ভাবে বিকট শব্দ করে পুরো ভবনের ছাদ ধসে পরে। ভবন ধসের ঘটনায় বিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী হাতে পায়ে এবং মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হয়। আহতদের আমরা দ্রুত উদ্ধার করে ভবনের বাইরে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। বিদ্যায়টিতে বর্তমানে প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।

আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মেহেরুন নেছাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। ওই ভবনে সকল ক্লাশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশের নুরুল হক নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনে ক্লাশ করার জন্য বলা হয়েছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সরোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষনিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। যাতে আর ওই ভবনে ক্লাশ করা না হয়। বিকল্প হিসেবে পাশের একটি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবনে ক্লাশ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

(এন/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮)