তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : বিশ্বে প্রতিবছর আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালের তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতিদিন অন্তত ছয়জন ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন অস্ট্রেলিয়ায়। আর দৈনিক ৩০ জন আত্মহত্যাচেষ্টা করেন।

অন্যদিকে আত্মহত্যা কমাতে প্রযুক্তি কী রকম ভূমিকা পালন করতে পারে, সেটা নিয়ে গবেষণা চলছে। অনলাইনে গুগল সার্চের মাধ্যমে নানা বিষয় সম্পর্কে খোঁজ করে মানুষ। কেউ কেউ নিজের কিংবা ঘরের লোকের চিকিৎসার জন্যও গুগল করে। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন একেবারেই ভিন্ন কথা। তারা এই প্রক্রিয়া পছন্দ করছেন না।

এসবিএস নিউজ-এর এক প্রতিবেদনে ব্ল্যাক ডগ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর হেলেন ক্রিস্টেনসেনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, অনলাইনে দিনে-রাতে সর্বক্ষণই তথ্য পাওয়া যায় এবং অটোমেটেড চ্যাটবক্স থেকে সাড়া পাওয়া যায়।আত্মহত্যা-প্রবণ বেশিরভাগ লোকই প্রচলিত চিকিৎসা-সেবা গ্রহণ করতে চান না। এর মানে হলো, অনলাইন টুলসগুলো এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

শানাই পিয়ার্সের বয়স যখন ১৪ বছর ছিল, তখন তিনি প্রথম আত্মহত্যাচেষ্টা করেন। অনলাইনে তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, কারও সঙ্গে মুখোমুখি এ বিষয়ে কথা বলার আগে অনলাইনের এই সেবার মাধ্যমে কিছুটা হলেও আড়াল পাওয়া যায়।

দি ব্ল্যাক ডগ ইনস্টিটিউট আরও একটি গবেষণা প্রকল্প শুরু করেছে। এর নাম দি সেন্টার অফ রিসার্চ এক্সেলেন্স ইন সুইসাইড প্রিভেনশন। (সিআরইএসপি)। আত্মহত্যার হার কমানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তি কতোটুকু ভূমিকা রাখতে পারে সেটাই খতিয়ে দেখা হবে এই গবেষণায়।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮)