মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকা ও সদর উপজেলার হাউজদি বাজার থেকে দুই ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। ভুয়া ডাক্তারি সনদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান করায় ঐ দুই ডাক্তারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। 

র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সোমবার রাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড সংলগ্ন নিরাময় হাসপাতালের পাশে “দৃষ্টি সেবা (চক্ষু পরিচর্যা কেন্দ্র) মেডিকেল হল” নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় ভূয়া ডাক্তার এমএম নূরুল ইসলামকে (৪৮) আটক করা হয়। অভিযানে তার কাছ থেকে ৪টি ভুয়া ডাক্তারী সনদ উদ্ধার করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আসামীর বিরুদ্ধে মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮ ধারা মোতাবেক ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ভুয়া ডাক্তার এমএম নূরুল ইসলাম সদর উপজেলার চরফতে বাহাদুরপুর গ্রামের মো. সাহেব মাল এর ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে কলেজ রোড এলাকায় নিজস্ব চেম্বারের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।

অপরদিকে সদর উপজেলার হাউজদি বাজারে সঞ্জয় হালদার (৩৪) নামের আরেক ভূয়া ডাক্তার সীমান্ত মেডিকেল হল নামক চেম্বার খুলে অসংখ্য মানুষকে ভুয়া চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন। চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে সে রোগ নির্ণয়ের জন্য ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইসের ব্যবহার করে থাকেন। এক্ষেত্রে সে হৃদরোগ, কিডনি, ফুসফুস, যকৃৎ এর সমস্যা, ডায়াবেটিস, টিউমার, ক্যান্সারসহ সকল প্রকার জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদান করেন। রোগ নির্ণয় শেষে তিনি বিভিন্ন কোম্পানীর ঔষুধ দিয়ে থাকেন। ভুয়া ডাক্তার হাউজদি এলাকার নগেন হালদারের ছেলে।

র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানায়, অপারেশনে প্রতারণা সনাক্তে মাদারীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডা. মো. খলিলুর রহমানের সহযোগিতা নেয়া হয়। পরে আটকদের প্রত্যেককে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আল মামুন ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত যন্ত্র এবং ভুয়া সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।

(এএসএ/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮)