স্টাফ রিপোর্টার : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন নিয়ে হাইকোর্টে করা আবেদনের শুনানি আগামী সপ্তাহে হতে পারে। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আবেদনটি উপস্থাপন করা হলে আদালত তা আগামী সপ্তাহের রবিবার কার্যতালিকায় থাকবে বলে জানান।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও তানিম হোসেইন। জ্যোতির্ময় বড়ুয়া পরে নাংবাদিকদের বলেন, শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে করা আবেদনটি শুনানির জন্য আজ কার্যতালিকায় থাকার কথা ছিল। তা না থাকায় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আদালত বলেছেন, আগামী রোববার থেকে আবেদনটি কার্যতালিকায় থাকবে। যে কোনো দিন শুনানি হতে পারে।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত জামিন আবেদন খারিজ করার পর ১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন শহিদুলের আইনজীবীরা।

এর আগে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৪ সেপ্টেম্বর এ জামিন আবেদন শুনতে বিব্রত বোধ করে। এরপর প্রধান বিচারপতি বিষয়টি শুনানির জন্য বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান।

পরে গত ১০ সেপ্টেম্বর এই বেঞ্চ ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শহিদুল আলমের জামিন আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতকে নির্দেশ দেন। যা পরে নাকচ করে দেন ওই আদালত।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত ৫ আগস্ট রাতে দৃক গ্যালারি ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ‘উসকানিমূলক ও মিথ্যা’ অপপ্রচারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এ মামলা করে পুলিশ।

ঢাকার হাকিম আদালত শহিদুলের জামিন আবেদন নাকচ করে দিলে তার আইনজীবীরা ১৪ আগস্ট মহানগর দায়রা জজ আদালতে যান।

বিচারক আবেদনটি ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য রাখলে তারা শুনানির তারিখ এগিয়ে আনার জন্য আরেকটি আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তা গ্রহণ না করলে ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে ওই আদালতেই আবারো আবেদন করা হয়। আদালত তা শুনানির জন্য গ্রহণ না করায় গত ২৮ আগস্ট শহিদুলের জামিন আবেদন নিয়ে তার আইনজীবীরা হাইকোর্টে যান।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮)