ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : আশ্বিনে গা শিন শিন করার কথা। কিন্তু পড়েছে চৈত্র-বৈশাখের মতো প্রচন্ড গরম । গত কয়েকদিনের টানা ভ্যাপসা গরমে ঈশ্বরদীর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রোদের তীব্রতায় পথে-ঘাটে বের হওয়াই দুস্কর হয়ে পড়েছে। দিনের শুরুতে গরমের তীব্রতা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা চৈত্রের খরতাপের মতো বেড়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত। দিনে ও রাতে ভ্যাপসা গরমে একই অবস্থা।

আবহাওয়া অফিস বলছে, বাতাসের আপেক্ষিক জলীয়বাস্প ও আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকায় মানুষ অতিরিক্ত ঘামছে। ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়ায় শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। ঈশ্বরদীতে সর্দি, কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটেরপীড়াসহ বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বয়োঃবৃদ্ধ ও শিশুরা বেশী আক্রন্ত হচ্ছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টু বলেন, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শুধু দিনের বেলাতেই নয, রাতেও গরমে মানুষ ঘুমাতে পারছে না। আশ্বিনে চৈত্রের মতো গরম পড়ছে। শরতকালে এত গরম আগে কখনও দেখিনি বলে তিনি জানান।

আগামী ২/১ দিনের মধ্যে বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বুধবার ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ছিলো ৩৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ৩৬.৩ ডিগ্রী রেকর্ড হয়েছে। ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আব্দুল খালেক সরকার বলেন, এ বছর বৃষ্টিপাত কম, যে কারণে শরৎকালে যে কোন বছরের চেয়ে বেশি গরম পড়েছে। একটা লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে আজ কালের মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশী থাকায় গরম বেশী অনুভূত হচ্ছে।

(এসকেকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮)