রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে অনু খাদ্যের অভাবে আমন ধানের পাতা হলুদ হয়ে পাতা মোড়া রোগ দেখা দিয়েছিল। এতে শতশত বিঘা জমির ধান এ রোগ আক্রান্ত হয়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রায় জমির ধানগুলো এখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। তবে কিছু কিছু জমির ধান আবার নতুন করে লাগানো হয়েছে। 

আমন ধানগুলো আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনতের রাণীনগর উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: আমীর আলী, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো: সাজ্জাদ হোসেন সোহেল ও মো: বকুল ইসলামসহ সকল কর্মকর্তরা প্রতিদিনিই লিফলেট বিতরণ, কৃষক সমাবেশ, পথসভা ও ইউনিয়নে ইউনিয়নে গিয়ে চেয়ারম্যান মেম্বারদের পরামর্শ দেওয়াসহ কৃষকদের দিচ্ছে নানা পরামর্শ।

জানা গেছে, উপজেলার কৃষকদের আয়ের উৎস্যই ধান থেকে। চলতি মৌসুমে রাণীনগর উপজেলায় ১৫ হাজার ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। ধানের মধ্যে রয়েছে বিনা সেভেন, বিআর-৪৯, বিআর-৫১, বিআর-৫২ ও আতবসহ বিভিন্ন প্রজাতের ধান। দিন পনেরো আগে হঠাৎ করে রাণীনগর, পারইল, কালীগ্রাম, বড়গাছা ও একডালা ইউনিয়নে অনু খাদ্যের অভাবে আমন ধান গাছের পাতা হলুদ হওয়া অর্থাৎ পাতা মোড়া রোগ দেখা দেয়। পাতা হলুদ হওয়ার ৫ দিন থেকে ৮ দিনের মধ্যে জমির ধান মরে যাচ্ছিলো। প্রতি দিনই নতুন নতুন জমি এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

আক্রান্ত ধানগুলোর মধ্যে স্বর্ণা, বিআর-৪৯ এবং কাটারি ভোগ জাতের। কৃষকরা কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ পেয়ে প্রায় এখন জমির ধানগুলো রক্ষা করতে পারছে। আর কিছু কিছু জমির ধান আবার নতুন করে লাগিয়েছে কৃষকরা। এতে তাদের বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে।

হাসান আলী , দুলাল হোসেন ও মোতাহার আলীসহ আরো কয়েকজন কৃষকরা জানান, কিছু দিন আগে আমাদের আমন ধানের পাতা গলুদ হয়ে পাতা মোড়া রোগের আক্রমন দেখা দিয়েছিল। কিছু কিছু জমির ধানের পাতা হলুদ হয়ে মরে যাওয়ায় আবার নতুন করে ধান লাগাতে হয়েছে। আর এখন উপজেলার কৃষি বিভাগের পরামর্শে অন্যান্য জমির ধান প্রায় এখন এ রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে। তবে নতুন করে ধান লাগানোর কারনে আমাদের কিছু বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় রোপা আমন ধানে অনু খাদ্যের অভাবে কিছু এলাকার জমিতে ধানের পাতা হলুদ হয়ে গিয়েছিল। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আক্রান্ত ধান গাছগুলো এখন প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। কৃষি বিভাগ থেকে প্রতিনিয়ত কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে আক্রান্ত ধান গাছগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনতে।

(এসকেপি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮)