রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ভোট ছাড়া নির্বাচন করে একদিনও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। জনগণের ভোট নিয়ে একশ বছর ক্ষমতায় থাকলে আমার কোন কথা নাই। তবে ভোটার বিহীন নির্বাচনে ক্ষমতায় আসলে বিশ্বের বুকে নারী স্বৈরাচার হিসেবে পরিচিত লাভ করবেন। আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিক বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ৮শত থেকে ১ হাজার টাকা ঋণ ছিলো বর্তমানে মাথা পিছু ঋণ প্রায় ৬০ হাজার টাকা। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন হয় নাই। ১০ টাকার ঘোড়াকে ৬০ টাকার খাবার খাওয়াচ্ছেন। ২০ দিনের জন্য আমি শেখ হাসিনার পতন চাইনা। সংসদ অধিবেশন শেষ হলে ১০/১৫ দিনের মধ্যেই বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

বঙ্গবীর বলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যা করণীয় তাই করেন। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে আমি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো না। তবে নির্বাচন না করলেও বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার মতো চুড়ি ও শাড়ী পরে ঘরে বসে থাকবো না। পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আমাকে থামিয়ে রাখতে পারবেন না। পুলিশ সুপার হয়তো আমাকে মেরে ফেলতে পারবে। তবে সামনে এসে কথা বলার মতো সৎ সাহস পাবে না।

তিনি আরও বলেন, আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে এসেছি। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন মানুষের কল্যাণে কাজ করবো। এদেশের জনগণ আমাকে ভালবাসে সেটা মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়ে তারা প্রমাণ করেছেন। আমরা কারো সাথে পা পাড়া দিয়ে ঝগড়া করি না। যদি আমাদের সাথে কেউ পা পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে আসে তাহলে পা আমরা রেখে দিবো। রাজনীতি করেন প্রতিপক্ষকে সম্মান করেন না। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে সম্মান দিতে শিখুন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এসব অসম্মানকারীদের লাথি মেরে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিতেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম এসব কথা বলেন।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি এড. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে টাঙ্গাইল ক্লাবে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান তালুকদার খোকা বীর প্রতীক, বঙ্গবীরের সহধর্মিনী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় যুব আন্দোলনের সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ, কেন্দ্রীয় ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি হাবিবুর নবী সোহেল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নাটোর জেলার সভাপতি শহিদুর রহমান মুন্সি, গাজীপুর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা আলী হোসেন, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ফেরদৌস আহমেদ, জামালপুর জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম সালেক হিটলু।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মির্জাপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন তাপস, ভূঞাপুর উপজেলার সভাপতি শেখ রফিক, ঘাটাইল উপজেলার সভাপতি আব্দুল হালিম, সখীপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মীর জুলফিকার শামীম, কালিহাতী উপজেলার ইথার সিদ্দিকী প্রমুখ।

(আরকেপি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮)