সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাসরিন আক্তারকে (১৯) পিটিয়ে আটকে রেখেছে এমনকি তার চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেয়নি তার পাষান্ড স্বামী রিন্ট মৃধা। নাসরিনের খালাত ভাই নাইমের সহযোগিতায় স্থানীয় লোকের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে শুক্রবার । 

সূত্র জানায়, গলাচিপা উপজেলার দক্ষিন পক্ষিয়া গ্রামের আব্দুল রব খলিফার মেয়ে নাসরিন আক্তারকে কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের দেলোয়ার মৃধার ছেলে রিন্টু মৃধার (২৪) সাথে আড়াই বছর আগে দুই লাখ টাকার কাবিনে বিবাহ হয়। এ বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে অদ্য পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা দিতে হয়েছে।

আব্দুল রব খলিফার মেয়ে নাসরিন আক্তারের সুখের জন্য স্বর্নের চেইন কানের দুল ,গরু ও এমনকি বসত ঘর বােিনয়ে দিয়েছে। মাস তিনেক আগে ব্যবসার কথা বলে ২০হাজার টাকা নিয়েছে তার স্বামী রিন্টু মৃধা। যে সময় পাড়ছে সেই সময় কম বেশী দিয়েছে উপটৌকন। এরই মধ্যে নাসরিন অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার পর থেকে তাকে তার স্বামী ভালো চোখে দেখছিল না। এমনকি তা নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন কৌশল খুজছিল। একদিন তা নাসরিনের হাতে ধরা পড়ে যায়। তার স্বামী রিন্টু নাসরিনকে চাপ দেয় তোর বাবার বাড়ী থেকে টাকা এনে দেয়। গত সোমবার নাসরিন সংসারের দৈনন্দিন বাজাারের কথা বললে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় রুয়া দিয়ে পিটিয়ে ঘরের খুটির সাথে বেধে রাখে। বাড়ির এক মহিলা তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে তাকে বকা দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। নাসরিনের স্বামী বাড়ী থেকে কোথায় গেলে এ ফাকে নাসরিন দ্রুত বের হয়ে পাটুয়া নামক স্থানে পৌছলে তাকে লোকজন নিয়ে বাধা দেয় । যারা বাধা দেয় তারা নাসরিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখে অন্তস্বত্ত্বা নারীকে এ রকম মারে না বলে নাসরিনকে চিকিৎসা নেয়ার জন্য পরমার্শ দেন ও এগিয়ে দেয়।

গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত চিকিৎসক ডাক্তার মো: মেজবা উদ্দিন জানান, সে অন্তঃস্বত্তা, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

(এসডি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮)