শামীম হাসান মিলন, চাটমোহর (পাবনা) : পাবনার চাটমোহরে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্যেসহ নানা অভিযোগ এনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ মো. মকবুল হোসেনকে মনোনয়ন না দেয়ার দাবিতে গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ফোরামের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে স্থানীয় ডাকবাংলো থেকে একটি গণমিছিল বের হয়ে পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় মিছিলকারীদের হাতে ছিল ‘চাটমোহর থেকে এমপি প্রার্থী চাই’, ‘মকবুল বাদে প্রার্থী চাই’, ‘চাটমোহরের মানুষ বেঁধেছে জোট, রাজাকারের সন্তান বিদায় হোক’সহ নানা শ্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড।

মিছিল শেষে চাটমোহর পৌর এলাকার জারদিস মোড়ে পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ফোরামের আহবায়ক ইছাহাক আলী মানিকের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পাবনা জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুনীল চন্দ্র চন্দ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য হেলাল উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুউল্লাহ সাচ্চু, আওয়ামীলীগ নেতা এস এম আবদুল ওয়াহেদ, সাহেব আলী মাস্টার, রেজাউল করিম পলাশ, প্রভাষক আব্দুল গণি, ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ বকুল।

এমপি মকবুল হোসেনকে রাজাকারের সন্তান উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, পাবনা-৩ এলাকায় আওয়ামীলীগে কোন্দল সৃষ্টি করেছেন এমপি মকবুলের কারণে। মকবুল এমপির বাবা প্রয়াত হাজী মহসিন হাদল-ডেমরার গণহত্যার অন্যতম সহযোগী এবং পিস কমিটির নেতা ছিলেন বলে অভিযোগ করেন নেতারা। তাই এবারের নির্বাচনে চাটমোহর থেকে নৌকার প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন না দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান বক্তারা।

এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী মানিক চাটমোহরের আগশোয়াইল গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার আবুল হোসেনকে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ২০ হাজার টাকা অনুদান চেক দেওয়ার জন্য ধিক্কার জানিয়ে এমপি মকবুলকে ভৎর্সনা করেন।

(এসএইচএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮)