শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন উপকূলে বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ জেলের মধ্যে ২৪ জেলে ভাসতে ভাসতে ভারতের জলসীমায় গিয়ে উদ্ধার হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগোনার কাকদ্বীপের পার্থপ্রতিম থানায় আটক আছেন এবং বাকী ৯ জেলে সেখানকার মৎস্যজীবীদের হেফাজতে রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগোনার কাকদ্বীপ থানা পুলিশ এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

নিখোঁজ বাকী জেলেসহ ডুবে যাওয়া ১৫টি ফিশিং ট্রলারের সন্ধানে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর উদ্ধার অভিযান দ্বিতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লে. জাহিদ আল হাসান। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত সাগর থেকে কোন জেলে-মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ভারতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগোনার কাকদ্বীপের পার্থপতিম থানার এসআই মিলন দাস ও বরগুনা জেলা মৎস্যজীবি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা জানান, বৃহস্পতিবার ঝড়ের কবলে পড়ে ১৫টি ট্রলার ডুবির ঘটনায় জেলে নিখোঁজের পর শুক্রবার রাতে ভাসতে ভাসতে ভারতের জলসীমার কলস নামক এলাকা থেকে ২৪ বাংলাদেশী জেলেকে উদ্ধার করে সেখানকার জেলেরা। এরমধ্য থেকে ১৫ জনকে রাতেই পার্থপ্রতিম থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

থানা ও মৎস্যজীবীদেও হেফাজতে থাকা ২৪ জেলেদের শনিবার দুপুর পর্যন্ত আদালতে পাঠানো হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোন আইনগত পদক্ষেপের সিদ্ধান্তও হয়নি। এসব জেলেদের বাড়ী বরগুনা জেলার মহিপুর ও পাথরঘাটা এলাকায়।

মহিপুরের জেলে মহাজন মো. জাকির হোসেনের এফবি জাহানারা ট্রলারের জেলে তারা। ট্রলারটি ডুবে এ সকল জেলেরাও নিখোঁজন হন। এছাড়া বরগুনার পাথরঘাটার মহাজন মো. জসিমের এফবি মা ট্রলারের ৯ জেলে কাকদ্বীপের সেখানকার মৎস্যজীবীদের হেফাজতে রয়েছেন।

(এসএকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮)