ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে বড় ভাই হাতুড়ি বাটাল দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে  হত্যা করেছে। রবিবার  ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে ঈশ্বরদীর সাহাপুরের মালিথাপাড়ায় হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে । 

এলাকাবাসী জানায়, সাহাপুর মালিথাপাড়ার ইউনুস আলী মালিথার মেঝ ছেলে লিখন মন্ডল দশা (২৮) তাঁর আপন ছোট ভাই খোকন হোসেন কটা মন্ডলের (২৪) ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও বাটাল দিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। তাঁকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক খোকন মন্ডলকে মৃত ঘোষণা করেন।

পারিবারিকভাবে সূত্রে জানা যায়, ৪-৫ দিন আগে খোকন হোসেন মন্ডলের সঙ্গে তাঁর ভাই লিখন মন্ডলের স্ত্রী শারমিন খাতুনের পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শারমিন বাবার বাড়ি চলে যায়। যাওয়ার সময় শারমিন লিখন মন্ডলকে বলে যায়, এ বিষয়ে সূরাহা না করলে সে আর ফিরে আসবে না। এঘটনায় দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে খোকন মন্ডলের স্ত্রী রিনি খাতুন ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে বাথরুমে যায়।

এই সুযোগে লিখন মন্ডল খোকনের ঘরে ঢুকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় খোকনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে হাতুড়ি ও বাটাল দিয়ে আঘাত করে ক্ষত-বিক্ষত করে। খোকনের আর্তচিৎকার শুনে রিনি খাতুন দ্রুত ঘরে গেলে লিখন হাতুড়ি ও বাটাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় রিনির আত্মচিৎকারে বাড়ি লোকজন ও প্রতিবেশিরা ছুটে এসে খোকনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঈশ্বরদী থানার এস আই আশরাফুল ইসলাম হত্যাকান্ডের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলেছি। অভিযুক্ত লিখন মন্ডল পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(এসকেকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮)