সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : দেশের সর্ববৃহত্তম ও প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের বীজবর্ধন খামার পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনের কবলে। 

স্থানীয় প্রতিনিধিের পাঠানো তথ্যে জানা যায়, অতিদ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বর্ষার আগেই বীজবর্ধন খামারের অধিকাংশ তেঁতুলিয়ার গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে বলে সংস্লিষ্টরা মনে করছেন।

এদিকে বীজবর্ধন খামার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ১হাজার ৪৪ দশমিক ৩৬ একর জমি নিয়ে বীজবর্ধন খামারের কার্যক্রম শুরু হয়। ওই বছরের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীজবর্ধন খামারের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে বীজবর্ধন খামারে ৬শ’ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৪শ’ ২০ একর জমির চাষাবাদ হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বীজবর্ধন খামারের উওর-পশ্চিম দিকে তেতুলিয়া নদীর তীব্র ভাঙ্গনের কবলে পরে প্রতিনিয়ত স্থলোজমি হারিয়ে যাচ্ছে নদীর গর্ভে। ইতিমধ্যে নদী ভাঙ্গনে ৪শ’ ৪৪ দশমিক ৩৬ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বীজবর্ধন খামারের ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে মসজিদ, গোডাউন, অফিস ভবন ও নবনির্মিত বায়ো গ্যাস প্লান্ট। এদিকে ঝুঁকি নিয়ে জোড়াতালি দেওয়া ডিঙ্গি নৌকায় বীজবর্ধন খামারের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পারাপার হতে দেখা যায়।

অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৭ নভেম্বর জিওবির অর্থায়নে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বায়োগ্যাস প্লান্টটি বীজবর্ধন খামার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।

বীজবর্ধন খামারের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার বলেন, নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই জোড়াতালির দেওয়া ডিঙ্গি নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে। দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সরকারী প্রদক্ষ্যপ নিবে এটাই স্থানীয়দের দাবি।

(এসডি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮)