স্টাফ রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এখনো অনেক ব্যাংক ঋণে সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে (৯ শতাংশ) আনতে পারেনি। তবে আশা করছি, শিগগির তারা তা বাস্তবায়ন করবে। হয়তো কয়েক মাস সময় লাগবে। এটা করা খুবই সহজ। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো প্রফিট একটু কম করলেই হয়।

মঙ্গলবার সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক থেকে পাঁচ শতাংশ সরল সুদে (সুদের ওপর সুদ নয়) গৃহনির্মাণ ঋণ বিষয়ে চারটি সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতাস্মারক (এমওইউ) সই অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আশাদুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গত ৯ আগস্ট থেকে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে ৬ শতাংশে আমানত সংগ্রহ ও ৯ শতাংশ সুদহারে শিল্প ঋণ বিতরণ করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অধিকাংশই ব্যাংক এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেনি। তবে সরকারি কয়েকটি ব্যাংক তা বাস্তবায়ন করেছে।

৫ শতাংশ সুদে গৃহনির্মাণ ঋণের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আগে একজন সরকারি কর্মচারী অবসরে যাওয়ার পর মাথাগুঁজার ঠাই নিয়ে চিন্তিত থাকতেন। এর মাধ্যমে সেই অনিশ্চয়তা থাকবে না।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী একজন নাগরিকের অধিকার হচ্ছে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান। আমরা খাদ্যের বিষয়ে বর্তমানে ভালো অবস্থানে রয়েছি। এটা অর্জনে আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছে। কৃষি জমি অনেক কমে গেছে। কিন্তু খাদ্য উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়াতে সক্ষম হয়েছি।

উড়জাহাজ থেকে দেখা যায়, আবাসনে আমরা অনেকটা এগিয়েছি

'আবাসনে আমরা এখনো একটু পিছিয়ে আছি। এখন আবাসনে জোর দেয়া হচ্ছে। আজকের এ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য হচ্ছে আবাসনের উপর জোর দেয়া। শতভাগ জনগণকে আবাসনের আওতায় আনতে সময় লাগবে। এখন দেশে হয়তো ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষ আবাসনের আওতায় রয়েছে। বাকিরা ঝুপড়ি-টুকরিতে কোনোভাবে থাকে। এটাও লক্ষণীয় আবাসনে বিস্তার হয়েছে। এটা সর্বব্যাপী উন্নয়ন হয়েছে। যদিও আমি জানি, আবাসনে আমরা বেশ পিছিয়ে আছি, তারপরও উড়জাহাজ থেকে দেখা যায়, আবাসনে আমরা অনেকটা এগিয়েছি।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮)