স্পোর্টস ডেস্ক : পরিসংখ্যানে যোজন যোজন এগিয়ে পাকিস্তান, শক্তিমত্তায়ও। মুখোমুখি ৩৫ লড়াইয়ে ৩১টিই জিতেছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমিফাইনালে তাই তাদের বাংলাদেশের বিপক্ষে ফেবারিট মানতে আপত্তি নেই টাইগার কোচ স্টিভ রোডসের। তবে ধারে ভারে এগিয়ে থাকলেও কয়েকটি কারণে এবার বেশ বিপদেই থাকবে সরফরাজ আহমেদের দল।

এক নাম্বার কারণটি প্রায় সবারই জানা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারতের কাছে টানা দুই হার। পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থারও স্বীকার করেছেন, ওই হারগুলোর পর তার দল আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগছে। বাংলাদেশ এই জায়গায় এগিয়ে। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জিতেছে মাশরাফির দল। যে জয় দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটাই।

পাকিস্তানের আরেকটি দুশ্চিন্তার কারণ পেসারদের অফফর্ম। বাংলাদেশের ভয় পাকিস্তানি পেসারদের নিয়েই। অথচ পাকিস্তানের ফ্রন্টলাইন পেসার মোহাম্মদ আমির একেবারেই ফর্মে নেই। গত ছয় ওয়ানডেতে একটি উইকেটও পাননি তিনি। ফলে এশিয়া কাপে তাকে একাদশের বাইরেও থাকতে হয়েছে।

আরেক পেসার হাসান আলি সব কটি ম্যাচ খেললেও তেমন ভালো করতে পারেননি। নিয়েছেন মাত্র ৩ উইকেট। উইকেটপ্রতি খরচাও অনেক, ৫১.৬৬ রান। উসমান খানও সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। একাদশে জায়গা পেতেই হিমশিম খাচ্ছেন।

সমস্যা আছে ফিল্ডিংয়েও। গত দুই ম্যাচে ভুরি ভুরি ক্যাচ ড্রপ করেছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা ফেলেছে পাঁচ ক্যাচ, ভারতের বিপক্ষে তিনটি। আর কথায় আছে, ক্যাচ ড্রপ মানেই ম্যাচ ড্রপ।

সবশেষে ব্যাটিং। এই জায়গাতেও খুব একটা স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান। দুই ওপেনার ইমাম উল হক আর ফাখর জামান এশিয়া কাপের আগে প্রায় অপ্রতিরোধ্য জুটি হয়ে গিয়েছিলেন। জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১০ রানের ইনিংস খেলা ফাখর চলতি টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত করেছেন মাত্র ৫৫ রান।

আরেক ওপেনার ইমাম রান পেলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি। চার ম্যাচে সর্বসাকুল্যে ৫৮ রান করেছেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। আসিফ আলি করেছেন ৪৬ রান।

সবমিলিয়ে তিন বিভাগেই বেশ অস্বস্তিতে আছে পাকিস্তান। এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে দেখা যাবে বাংলাদেশের নামটিই।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮)