স্টাফ রিপোর্টার : সম্প্রতি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংসদে পাস হয়েছে। তবে এ আইন গ্রাহকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার বদলে উল্টো তাদেরকে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে সমর্পণের সকল বিধি-ব্যবস্থা করা হয়েছে উল্লেখ করে বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার রাজধানীর তোপখানা রোডের কমরেড নির্মল সেন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘এ আইনের ফলে সুশাসন, গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা ও মুক্ত চিন্তা বাধাগ্রস্ত করবে। সেই সঙ্গে, দেশের প্রায় ৯ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে পুলিশি তল্লাশির মুখে পড়তে পারে।’

ডিজিটাল প্রযুক্তির নিরাপত্তার জন্য দেশে পূর্বের বিভিন্ন আইন যেমন: অশ্লীল বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধকরণ আইন ১৯৬৩, পর্নগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ আইনের বিভিন্ন উদাহরণ টেনে বক্তারা বলেন, ‘এসব আইনের মধ্যে বিতর্কিত ৫৭ ধারাও ছিল। তবে এসব আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকার কারণে প্রযুক্তির অপব্যবহার মাথা চারা দিয়ে উঠছে।’

তারা বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১, ২৫, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৩৪ ধারা স্বাধীন মত প্রকাশের প্রতিবন্ধক। এ সকল ধারা মুক্ত চিন্তা ও মতামত প্রকাশে সহায়ক নয়। এ আইনের মাধ্যমে পুলিশকে পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি, সম্পদ জব্দ ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।’

এসময় বক্তারা পাসকৃত আইন বাতিল করে নতুনভাবে প্রযুক্তি খাতে গ্রাহকবান্ধব এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে মানবাধিকার রক্ষা করে এমন যুগোপযোগী আইন করার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ খান, সংগঠনের মহাসচিব এ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮)