রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার ৫ নং বাচোর ইউনিয়নের বুড়িপুকুর গ্রামের বেহাল সড়কে চরম জনদুভোর্গে পড়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও কয়েকগ্রামের মানুষসহ পথচারীরা ।

তবে ঐ গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষোভের সাথে বলেন, এ গ্রামের বাসিন্দা জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাওঁ-৩ আসনের সাবেক এমপি হাফিজউদ্দীন আহম্মদও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক। এ ধরনের প্রভাশালী রাজনৈতিক নেতাদের গ্রামের বাড়ী এ সড়ক দিয়েই যেতে হয়। তারপরেও গ্রামের পাকা সড়কটি বেহাল। সংস্কারে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ নেই।

বুধবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির কার্পেটিং উঠে একাকার হয়ে গেছে,সড়কের খোয়া উঠে বড় বড় খালের সৃষ্টি হয়েছে।একটি সাইকেলে চালিয়ে যাওয়ায দুস্কুর হয়ে পড়েছে। এছাড়াও সড়কের বেহাল দশায় কোন রিক্সা ভ্যান বা মাইক্রোবাস যেতে চাই না। গেলেও অতিরিক্ত ভাড়া চেয়ে বসে।

পীরগঞ্জ- রানীশংকৈল মহাসড়কের বুক চিরে পাটগাওঁ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেষে প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক গিয়ে চপড়া প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিকট থাকা উপজেলার বৃহত্তর কাতিহার হাট বাজারের সড়কের সাথে যুক্ত হয়েছে। এ সড়কটি দিয়ে পীরগঞ্জ উপজেলার গোগর বন্দর সহ কয়েক গ্রামের মানুষ কাতিহার হাট চলাচল করে। এছাড়াও তিনটি বিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়মিত এ সড়ক দিয়েই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। এছাড়াও গ্রামের মানুষজনকে এ সড়ক দিয়েই উপজেলা সদরে বিভিন্ন কাজে যেতে হয়।

এ নিয়ে কথা হয় কাতিহার হাট শাখা রিক্সা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইশাহাক আলীর সাথে তিনি বলেন, রাস্তাটি র্দীঘদিন ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। সংস্কারের অভাবে আমাদের শ্রমিকরা এ সড়ক দিয়ে গাড়ী চালানো একধরনের বন্দ করে দিয়েছে। অত্যান্ত জরুরী ভাড়া ছাড়া শ্রমিকরা এ সড়কে যেতে চাই না।

যুদ্বাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা তবিবর আলী বলেন, রাস্তাটি অর্ধযুগেও সংস্কার হয়নি। কত সড়ক সংস্কার হচ্ছে আমাদের হয় না। আমরা বুঝি এ দেশের নাগরিক না। তাই মৌলিক অধিকার থেকে দীর্ঘ দিন বঞ্চিত হয়ে আছি। আমি সরকারের উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের নিকট অনুরোধ করবো দ্রুত সড়কটি সংস্কারের জন্য। এরকম আকুতি গ্রামের প্রত্যকটি মানুষের।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, গুরত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক-বি এর আওতায় পাটঁগাও থেকে চপড়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক মোট ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০৬ ও ২০০৭ সালে দুই বারে নির্মাণ করা হয়। এর পর আর সংস্কার করা হয় নি।

উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক বলেন, সড়কটি সংস্কার করা জরুরী আমি প্রত্যাশা করছি অতি শিগগির সংস্কার করে সড়কটি চলাচলে উপযোগী করে তোলা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম বলেন, আমরা সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি । অর্থ বরাদ্দসহ কাজের অনুমোদন পাওয়া গেলে দ্রুত সড়কটি সংস্কার করা হবে।

(কেএএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮)