রানীশংকৈল প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থায়ানে বাঁশমালী সম্প্রদায়ের বসত ঘর নির্মান প্রকল্পে এক রডের সিমেন্টের পিলার খুটি হিসেবে স্থাপন করায়। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাঁশমালিরা।

বাঁশমালী সম্প্রদায়ের জন্য এ ঘর নির্মাণ কাজ চলছে ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার ৮ নং নন্দুয়ার ইউনিয়নের রানীশংকৈল-হরিপুর মহাসড়ক ঘেষে বলিদ্বারা অনন্তপুর গ্রামে।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় হতে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বরাদ্দে বাশঁমালী সম্প্রদায়ের জন্য বসত ঘর নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৪৪টি ঘরের নির্মাণ কাজ ৩৬ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয়ে করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের জন্য আরো অর্থ চাওয়া হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বিস্তারিত কোন তথ্য দিতে নারাজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা। তবে তিনি গতকাল মঙ্গলবার মুঠোফোনে জানিয়েছেন,বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,টিন সেটের ঘরগুলি বাশঁমালী সম্প্রদায়ের পাড়াকে আলোকিত করে তুলার ব্যর্থ চেষ্টায় রয়েছে। কারণ ঘরের দরজা জানালা ও ছাউনির মটকা লাগানো না থাকায় পুরোপুরি আলোকিত হতে বাধা পড়েছে। আরো অর্থের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে অর্থ বরাদ্দ পেলে অ-সমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন অফিসের লোকেরা বলে মন্তব্য করেন বাশমালীরা।

ঘর নির্মাণ প্রকল্পে অভিযোগও রয়েছে বাশঁমালীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, দৈর্ঘ্য ১৫ প্রস্থ ১০ ফিট ঘরের জন্য শুধুমাত্র একটি রডদ্বারা নির্মিত সিমেন্টের পিলার খুটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রত্যকটি ঘরের জন্য ১০টি খুটি স্থাপন করা হয়। এক রডের দ্বারা সিমেন্টে পিলারে রডের পরিমাপ হলো ৮ মিলি নন-গ্রেডের।

আরো কয়েকজন যুবক বলেন,মহাসড়কের পাশেই আমাদের ঘর গুলি। বিভিন্ন ধরনের ভারী যানবাহন এ সড়ক দিয়ে গেলেই ঘরগুলো ভুমিকম্পের মত কাপে। তাছাড়ও ঘরের ছাউনিতে প্রায় ১২ মণের মত লোহার এঙ্গেল দিয়ে টিন সেট করা হয়েছে। তারও একটি ভাসমান ওজন আছে। এ ধরনের একরডের সিমেন্টের পিলার দিয়ে ঘর স্থাপন করায় ঘরগুলির কোন ভবিব্যৎ নেই বলে তারা মন্তব্য করেন। এছাড়াও ঘরের মেঝেতে অনিয়ম টিনের স্কুপ নিন্ম মানের ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।

এঙ্গেল দিয়ে টিনের ছাউনি ঘর নির্মাণে এ ধরনের এক রডের দ্বারা নির্মিত সিমেন্ট পিলার ব্যবহার করা বিপদজনক বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

(কেএএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮)