শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সবজি চাষিরা আগাম টমেটো চাষের মাধ্যমে এবার ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন। অনেক ক্ষেতে ফুল ধরতে শুরু করেছে। অক্লান্ত পরিশ্রমের পর ফোটা টমেটো’র ফুল এ অঞ্চলের চাষিদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। কিন্তু আগাম টমেটো চাষে রয়েছে নানান বিড়ম্বনা। সঠিক ভাবে ক্ষেতের পরিচর্যা না করলে চাষিদের চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হবে। বুধবার বিকেলে এমনটাই জানালেন উপজেলার খড়মখালী গ্রামের বেশ কয়েকজন টমেটো চাষি।   

টমেটো চাষি মুক্তিযোদ্ধা মনি মোহন হীরা, আলমগীর তরফদার, পরিমল মজুমদার ও গৌর মজুমদার জানান, এ অঞ্চলের টমেটো দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা মেটায়। প্রতিবছর এখানে ৫ লাখ টন টমেটো উৎপাদিত হয়। আগতি টমেটোতে ভাল দাম পাওয়া যায়। আগাম টমেটো ফলাতে কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমও করতে হয়। আর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর ফোটা টমেটো’র ফুল আজ এ অঞ্চলের চাষিদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তারা এ আগাম টমেটো চাষের মাধ্যমে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন।

শ্রীরামপুর গ্রামের টমেটো চাষি বিমল মন্ডল, কালশিরার বিকাশ মন্ডল, পাটরপাড়ার মুজিবর বিশ্বাস, সুরশাইলের মুন্না শেখ, খড়মখালীর পরেতোষ মজুমদার, ক্ষিতিষ, লিটন সিংহ, কুরমুনির রেজাউল খান, দড়িউমাজুড়ি গ্রামের দেবদাস বৈরাগী, দিজেন বৈরাগী ও সুবাস বৈরাগী, বুদ্ধ বসু ও নিহার পালসহ অনেক চাষি প্রায় অভিন্নসুরে জানান, বর্তমানে তাপমাত্রা বেশীর কারণে টমেটো গাছ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। টমেটো চাষে ক্ষতি হলে এ অঞ্চলের চাষিদের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙে যাবে।

চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এ বছর চিতলমারী উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ একর জমিতে এবার উচ্চ ফলনশীল চক্র, পানপাতা, মিন্টু সুপার, লাভলী, হাইটম ও বিউটিসহ বিভিন্ন জাতের টমেটোর চাষ হয়েছে। মূলত এ এলাকায় শীতকালীন টমেটার চাষ হয়ে থাকে। তাই আগাম চাষের জন্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেদিকটা বিবেচনা করে কৃষি বিভাগের চাষিদের সার্বিক পরামর্শসহ টমেটো ক্ষেতের খোঁজ খবর রাখ হচ্ছে।

(এসএকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮)