রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : শুধুমাত্র পুলিশের দারা এককভাবে মাদক ,জঙ্গী ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য জনগনকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের মধ্যে জনসচেতনতা গড়ে তুলে সামাজিক আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে হবে।

বৃহষ্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহা পুলিশ পরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এসব কথা বলেন।

জেলা পুলিশ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে পাকিস্থানি হানাদারদের প্রতিহত করার ডাক দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সেদিন পুলিশ পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে থ্রি নট থ্রি দিয়ে যুদ্ধ করেছিল। মারা গিয়েছিল অনেক পুলিশ সদস্য। এ সময় মুক্তিযেদ্ধাদের জন্য রাজারবাগ পুলিশ লাইনের অস্ত্রাগার খুলে দেওয়া হয়েছিল। আমরা তাদেরই উত্তরসুরি।

বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদই প্রধান অন্তরায় উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি পরাজিত হয়নি। তারা আমাদের মধ্যে ঘাপটি মেরে আছে। ২০১৩ সালে ওই অপশক্তি সাতক্ষীরার ১৬জন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষকে হত্যা করেছে। ওই সময় সারাদেশে ১৫০ জন পুলিশ পঙ্গু হয়ে গেছে। জনসাধারণ ও রাজনৈতিক সচেতন মানুষকে নিয়ে ২০১৩,২০১৪ ও ২০১৫ সালের অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিহত করা হয়েছে। ২০১৬ সালে ঢাকার হোলি আর্টিজানে কয়েকজন বিদেশী নিরীহ নাগরিককে হত্যা করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। পুলিশ তা প্রতিহত করেছে।

পুলিশের কোন সদস্য মাদক সেবী বা জঙ্গি হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, কোন নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না।

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন খুলনা বিভাগীয় উপমহাপুলিশ পরিদর্শক দিদার আহম্মদ, ঢাকা নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক শেখ মারুফ হোসেন, খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার, সাংসদ এসএম জগলুল হায়দার,সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান, বিজিবি’র ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সরকার মোস্তাফিজুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক আবু আহম্মদ, মুক্তিযোদ্ধা কমাল্ডার মোশারফ হোসেন মশু, তালা, কলারোয়া, দেবহাটা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যানগণ।

এর সমাবেশের আগে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে স্টেডিয়ামে এসে মিলিত হয়। পরে মাদক দ্রব্য বিনষ্ট, মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাদের আত্মসমর্পণ শেষে তাদেরকে ভ্যান প্রদান করা হয়।

(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮)